অগ্নি, তুমিই নভোমণ্ডলে বিদ্যুৎ স্বরূপে বিরাজমান হও, তুমিই মেঘগণ ক্ষেপণ করিয়া থাক, এবং তোমাকেই মহামেঘ কহে, তুমি অতি বিষম ঘোের বজ্র স্বরূপ, তুমি ভীষণগর্জ্জনকারী মেঘ, তুমি সকল লোকের সৃষ্টিকর্ত্তা ও সংহারকারী, তুমি সর্ব ভূতের জ্যোতিঃস্বরূপ, তুমি আদিত্য, তুমি বিভাবসু, তুমি পরমাশ্চর্য্য মহৎ ভূত, তুমি রাজা, তুমি নিখিল দেবের অধীশ্বর, তুমি বিষ্ণু, তুমি সহস্রাক্ষ, তুমি দেব, তুমি পরম গতি, তুমি অমৃত, তুমি পরম পূজিত সোমদেবতা, তুমি তিথি, তুমি লব[১], তুমি ক্ষণ, তুমি শুক্ল পক্ষ, তুমি কৃষ্ণ পক্ষ, তুমি কলা[১], কাষ্ঠা[১], ত্রুটি[১], সংবৎসর, ঋতু, মাস, রজনী ও দিবস, তুমি সমস্ত পর্বত ও সমস্ত বন সহিত পৃথিবী, ভাস্করসহিত তিমিররহিত নভোমণ্ডল, এবং উত্তালতরঙ্গবহুল মীনমরতিমিতিমিঙ্গিলসঙ্কুল জলধি, তুমি অতি যশস্বী, এই নিমিত্ত নির্ম্মলমনীষা[২] সম্পন্ন মহর্ষিগণ হর্ষোৎফুল্ল চিত্তে নিয়ত তোমার অৰ্চ্চনা করিয়া থাকেন, তুমি স্তুত হইয়া যজমানের হিতার্থে যজ্ঞীয় হবিঃ ও সোমরস পান করিয়া থাক। হে অতুলবল! ব্রাহ্মণের পারলৌকিক মঙ্গলফলাভিলাষে সতত তোমার অর্চনা করেন, নিখিল বেদাঙ্গ[৩] তোমার মহিমা কীর্ত্তন করে, যাগপরায়ণ দ্বিজেন্দ্রগণ তোমারি সাক্ষাৎকারলভার্থে সর্ব্ব প্রযত্নে সমস্ত বেদাঙ্গের অনুগম[৪] করেন।
১৭