পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
১৬৩

 এইরূপ বাসুকিবাক্য শ্রবণ করিয়া, নীতিবিশারদ সমবেত কনন্দনের। তথাস্তু বলিয়া উপস্থিত কার্য্য সাধন বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করিল। তন্মধ্যে কোনও কোনও নাগ কহিল, আমরা ব্রাহ্মণের স্বরূপ পরিগ্রহ করিয়া জনমেজয়ের নিকট এই ভিক্ষা চাহিব যে, তুমি যজ্ঞ করিও না। কতকগুলি পণ্ডিভিমানী নাগ কহিল, চল, সকলে গিয়া তাহার মন্ত্রী হই, তাহা হইলে তিনি সকল বিষয়েই কার্যাকার্য নিরূপণের নিমিত্ত অম!দিগকে জিজ্ঞাসা করিবেন;, তখন আমরা যাহাতে যজ্ঞ না হইতে পায়, এরূপ পরামর্শ দিব। সেই অসাধারণ বুদ্ধিমান রাজা আমাদিগকে নীতিবিদ্যাবিশারদ দেখিয়া অবশ্যই যজ্ঞ। বিষয়ে মত জিজ্ঞাসা করিবেন। আমরা ঐহিক ও পারলৌকিক অশেষ বিষম দোষ দৰ্শাইয় ও অপরাপর ভূরি ভূরি কারণ নির্দেশ করিয়া, এ রূপে নিষেধপক্ষে মত দিব যে, আর সে মত্ত হইতে পাইবেক না। অথবা যে সৰ্পৰ্ষত্রবিধান রাজকার্যতৎপর ব্যক্তি সেই যজ্ঞের উপাধ্যায় হইবেন, আমাদের মধ্যে কোনও নাগ গিয়া তাঁহাকে দংশন করুক, তাহা হইলেই উহার মৃত্যু হইবেক। এই রূপে উপাধ্যায় মরিলে আর সে যজ্ঞ হইবেক না। তদ্ভিন্ন সর্পসত্রজ্ঞ আর আর যে সকল ব্যক্তি যজ্ঞের ঋত্বিক হইবেন, তাহাদিগকেও দংশন করিব; তাহা হইলেই কার্য্য সিদ্ধ হইবেক। ইহা শুনিয়া অন্যান্স ধর্মাত্মা দয়ালু নাগ কহিল, এ তোমাদের অতি অসৎ পরামর্শ, ব্রহ্মহত্যা কোনও ক্রমেই বিধেয় নহে, বিপৎকালে নির্ম্মলধর্ম্মমূলক প্রতীকার চিন্তা করাই প্রশস্ত কল্প, অধর্ম্মপরায়ণতা সমস্ত জগৎ উচ্ছিন্ন করে। আর আর নাগেরা কহিল, আমরা জলধরকলের পরিগ্রহ করিয়া বারিবর্ষণ দ্বারা যজ্ঞীয় প্রদীপ্ত