পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহাভারত।
১৬৭

সকল সর্প অতি তীক্ষ্ণবিষ, ক্ষুদ্রাশয়, ও অকারণে পরহিংসক, তাহাদিগেরই বিনাশ হইবেক; যাহারা ধর্ম্মপরায়ণ, তাহাদের “কোনও ভাবনা নাই। সেই কাল উপস্থিত হইলে, যে উপায়ে তাহাদের ভয়মোচন হইবেক, তাহাও কহিতেছি, শ্রবণ কর। যাযাবরবংশে জরৎকারু নামে তপস্বী, জিতেন্দ্রিয়, ধীমান্, মহর্ষি জন্ম গ্রহণ করিবেন। সেই জরৎকারুর আস্তীক নামে পুঞ্জ জন্মিবেক; তাহা হইতেই সপত্রের নিবারণ হইৰেক এবং যে সকল স ধর্ম্মপরায়ণ তাহারা রক্ষা পাইবেক। দেবগণ, পিতামহবাক্য শ্রবণ করিয়া জিজ্ঞাসিলেন, হে প্রভো! মহাতপাঃ মহাবীর্য্য, মহামুনি জরৎকারু কাহার গর্ভে'সেই মহাত্মা পুত্র উৎপাদন করিবেন? ব্রহ্মা কহিলেন, মহাবীর্য জরৎকারু মুনি সনাম্নী কন্যাতে সেই মহাবীর্য পুত্র উৎপাদন করিবেন। সর্পরাজ বাকির জরৎকারু নামে এক ভগিনী আছে, তাহার গর্ভে সেই পুল জন্মিবেক, এবং সেই পুত্রই সৰ্পৰ্গণের শাপমোচন করিবেক। দেবগণ শ্রবণমাত্র তথাস্তু বলিলেন; ব্রহ্মাও দেবতাদিগকে পূর্ব্বেো ক্ত বাক্য কহিয়া স্বর্গারোহণ করিলেন।

 অতএব, হে নাগরাজ বসুকে! এক্ষণে আমার অভিপ্রায় এই যে, নাগকুলের ভয়শান্তি নিমিত্ত ব্রতপরায়ণ যাচমান জরৎকারু ঋষিকে ভিক্ষাস্বরূপ জরৎকারুনাম্নী ভগিনী প্রদান কর। আমি শাপমোচনের এই উপায় শ্রবণ করিয়াছি।