পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তীকপর্ব্ব।
২১১

করিব, আপনি মামার বিষয়ে কোনও ক্রমেই সন্দিহান হইবেন না। বাসুকি কহিলেন, বৎস! আমি মাতৃদগুনিগৃহীত হইয়া ঘূর্ণিত হইতেছি, আমার হৃদয় বিদীর্ণ প্রায় হইতেছে, দিগ্ভ্রম জম্মিতেছে। আস্তীক কহিলেন, মহাশয়। আপনার আর পরিতাপ করিবার অবশ্যকতা নাই। সর্পসত্রের প্রদীপ্ত হুতাশন হইতে মহাশয়ের যে ভয় জন্মিয়াছে, আমি তাহা দূর করিব, প্রলয়কালীন অনলতুল মহাখোর ব্রহ্মদণ্ড নিরাক্ষরণ করি, অপিনি কোনও ক্রমেই ভীতু হইবেন না।

 এইরূপ আশ্বাস প্রদান দ্বারা বাসুকির অতি-বিষম শোকানল শান্তি করিয়া দ্বিজশ্রেষ্ঠ আস্তীক ভূজগকুলের পরিত্রাণের নিমিত্ত সর গমনে রাজা জনমেজয়ের সর্বগুণসম্পন্ন সপত্রে উপস্থিত হইলেন; দেখিলেন, সূর্য্য ও বহ্নি সম তেজস্বী সদস্যগণ উৎকৃষ্ট বজ্ঞায়তনে উপবিষ্ট আছেন। প্রবেশকালে দ্বারবানেরা নিবারণ করিল। তখন সেই অদ্বিতীয় পুণ্যশীল দ্বিজশ্রেষ্ঠ প্রবেশলাভের নিমিত্ত সর্পত্রের ভূয়সী প্রশংসা করিলেন। অনন্তর যজ্ঞক্ষেন্ত্রে উপস্থিত হইয়া বাজার, ঋত্বিকগণের, সদস্যযবর্গের এবং যক্ষ্মীয় হুতাশনের প্রশংসা করিতে আরম্ভ করিলেন।