পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

একোনষষ্টিতম অধ্যায়—ভারতসূচনা।

শৌনক কহিলেন, হে সূতনন্দন! তুমি আমার নিকট ভৃগুবংশের বৃত্তান্ত প্রভৃতি অখিল মহৎ আখ্যান কীর্ত্তন করিলে, ইহাতে আমি তোমার প্রতি প্রীত হইয়াছি। এক্ষণে আমি তোমাকে পুনর্ব্বার অনুরোধ করিতেছি, ব্যাসসংক্রান্ত যে সমস্ত কথা আছে, সে সমুদায় আমার নিকট কীর্ত্তন কর। অতি দুঃসাধ্য সর্পসত্রে মহাত্মা সদস্যগণ অবসরকালে যে যে বিষয়ে যে সকল বিচিত্র কথা কীর্ত্তন করিয়াছিলেন, আমরা তোমার নিকট সেই সমস্ত কথা যথাবৎ শ্রবণ করিতে বাসনা করি; তুমি আমাদিগের নিকট বর্ণনা কর।

 উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, সর্পসত্রনিযুক্ত ব্রাহ্মণেরা অবসরকালে বেদমূলক নানা অখ্যান কীর্ত্তন করিয়াছিলেন, কিন্তু ব্যাসদেব মহাভারতরূপ বিচিত্র আখ্যান কীর্ত্তন করেন। শৌনক কহিলেন, ভগবান কৃষ্ণদ্বৈপায়ন অবসরকালে, রাজা জনমেজয় কর্ত্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া, পাণ্ডবদিগের যশস্কর যে মহাভারতরূপ আখ্যান বিধি পূর্ব্বক শ্রবণ করাইয়াছিলেন, মহানুভাব মহর্ষির মনঃসাগরসম্ভূত সেই পরম পবিত্র কথা যথাবিধি শুনিতে অভিলাষ করি, হে সাধুশ্রেষ্ঠ! তুমি তাহা কীর্ত্তন কর; আমি অদ্যাপি আখ্যানশ্রবণে তৃপ্ত হই নাই। উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, হে ঋষিপ্রবর! আমি কৃষ্ণদ্বৈপায়নপ্রোক্ত মহৎ উৎকৃষ্ট মহাভারত-নামক আখ্যান প্রথমাবধি সমুদায় কীর্ত্তন করিব, আপনি শ্রবণ করুন। আমারও এই আখ্যান কীর্ত্তন করিতে অত্যন্ত আহ্লাদ জম্মিতেছে।