পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
মহাভারত।

 হে মুনিগণ! অতঃপর বহুবিস্তৃত বিরাটপর্ব শ্রবণ করুন। পাণ্ডবেরা বিরাটনগরে গমন পূর্ব্বক শ্মশানে অতি প্রকা শমীতরু দৃষ্টিগোচর করিয়া তাহাতে স্ব স্ব অস্ত্র স্থাপন করিলেন, এবং নগরে প্রবেশ করিয়া ছাবেশে বাস করিতে লাগিলেন। তথায় ভীমসেন দ্রৌপদীসম্ভোগাভিলাষী কামান্ধ দুরাত্মা কীচকের প্রাণদও করেন। রাজা দুর্য্যোধন পাণ্ডবদিগের অন্বেষণার্থ চতুর্দিকে সুচতুর চরমগুলী প্রেরণ করেন; তাহারা মহাত্মা পাণ্ডবদিগের সন্ধান করিতে পারিল না। প্রথমতঃ ত্রিগর্ত্তেরিা বিরাট রাজার গোন হরণ করে। তাহাদিগের সহিত বিরাটের ঘোরতর যুদ্ধ হয়। ত্রিগর্ত্তরা বিরাটকে বন্ধন করিয়া লইয়া যাইতেছিল, ভীম তাঁহাকে মুক্ত করেন। পাণ্ডবেরা ত্রিগদিগকে পরাভূত করিয়া বিরাটের অপহৃত গোধন উদ্ধার করিলেন। তৎপরে কৌরবেরা তাহার গোপন হরণ করেন। অর্জুন নিজ বিক্রমে সমস্ত কৌরবদিগকে রণে পরাজিত করিয়া গোন প্রত্যাহরণ করিলেন। বিরাট রাজা সুভদ্রাগর্ভসস্তৃত শত্রুঘাতী অভিমন্যুকে উদ্দেশ করিয়া অর্জুনকে নিজ কন্যা উত্তরা সম্প্রদান করিলেন। অতি বিস্তৃত বিরাটনামক চতুর্থ পর্ব বর্ণিত হইল। এই পর্বে মহর্ষি সপ্তধষ্ঠি অধ্যায় গণনা করিয়াছেন। এক্ষণে শ্লোকসংখ্যা নির্দেশ করিতেছি, শ্রবণ করুন; এই পার্শে বেবেত্তা মহর্ষি দ্বিসহস্র পঞ্চাশৎ শ্লোক কীর্ত্তন করিয়াছেন।

 অতঃপর উদ্যোগনামক পঞ্চম পর্ব প্রবণ করুন। পাণ্ডবেরা বিপক্ষ জয়ার্থ উৎসুক হইয়া উপপ্লব্যনামক স্থানে অবস্থিত হইলে দুর্য্যোধন ও অর্জুন বাসুদেবসন্নিধানে উপস্থিত হইলেন, এবং উভয়েই প্রার্থনা করিলেন, তুমি এই যুদ্ধে আমার সহায়তা কর। মহামতি কৃষ্ণ উত্তর করিলে, এক পক্ষে এক অক্ষৌহিণী