পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পর্ব্বসংগ্রহ।
৪৭

সেনা, পক্ষান্তরে আমি একাকী, কিন্তু আমি যুদ্ধ করিব না, কেবল মন্ত্রিস্বরূপ থাকিব; তোমরা ইহার কে কি প্রার্থনা কর, বল। হিতাহিতবিবেকানভিজ্ঞ দুর্ম্মতি দুর্যোধন সৈন্য প্রার্থনা করিলেন, অর্জুন যুদ্ধবিমুখ কৃষ্ণকে মন্ত্রিত্বে বরণ করিলেন। মদ্ররাজ শল্য পাণ্ডবদিগের সাহায্যার্থ যাইতেছিলেন; দুর্যোধন পথে তাঁহার দর্শন পাইয়া উপহার প্রদান দ্বারা বশীভূত করিয়া এই প্রার্থনা করিলেন, তুমি আমার সাহায্য কর। শল্য অঙ্গীকার করিয়া পাণ্ডবদিগের নিকট প্রস্থান করিলেন, এবং তথায় উপস্থিত হইয়া শান্তু বাক্যে রাজা যুধিষ্ঠিরকে ইন্দ্রের’ বৃত্রাসুরজয়বৃত্তান্ত শ্রবণ করাইলেন। পাণ্ডবের কৌরসমীপে পুরোহিত প্রেরণ করিলেন। প্রতাপবান্ মহারাজ ধৃতরাষ্ট্র পাণ্ডবপ্রেরিত পুয়োহিতের বাক্য শ্রবণ করিয়া শান্তিস্থাপন বাসনায় সঞ্জয়কে পাণ্ডবদিগের নিকট দূতস্বরূপ প্রেরণ করিলেন। বাসুদেবের ও পাণ্ডবদিগের বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া চিন্তায় ধৃতরাষ্ট্রের নিদ্রাত্যাগ হইল। বিহুর মহাপ্রাজ্ঞ রাজা ধৃতরাষ্ট্রকে বহুতর অদ্ভুত হিতবাক্য শ্রবণ করাইলেন। মহর্ষি সনৎজাতও রাজাকে মনস্তাপান্বিত ও শোকবিহ্বল দেখিয়া পরমোৎকৃষ্ট অধ্যাত্ম শাস্ত্র শুনাইলেন। সঞ্জয় প্রকাতে রাজসভায় উপস্থিত হইয়া কৃষ্ণ ও অর্জুন একাত্মা বলিয়া বর্ণনা করিলেন। মহামতি কৃষ্ণ কৃপাপরতন্ত্র হইয়া বিরোধভঞ্জন ও শাস্তিস্থাপনার্থে হস্তিনাপুরে গমন করিলেন। রাজা দুর্যোধন উভয় পক্ষের হিতাকাঙক্ষী কৃষ্ণের অনুরোধ রক্ষা করিলেন না। এই স্থলে দম্ভোব রাজার উপাখ্যান, মহাত্মা মাতলির নিজ কন্যার্থে বরান্বেষণ, মহর্ষি গালৰের চরিত ও বিদুলার স্বপুত্রানুশাসন কীর্তিত আছে। কৃষ্ণ, কর্ণ, দুর্যোধন প্রভৃতির দুষ্ট মন্ত্রণ জ্ঞাত হইয়া সমস্ত