পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
মহাভারত।

আদেশ দিয়। তক্ষশিলা জয়ার্থে প্রস্থান করিলেন, এবং অবিলম্বে সেই দেশ আপন বশীভূত করিলেন।

 এই অবসরে প্রসঙ্গক্রমে উপাখ্যানাস্তর আরম্ভ হইতেছে। আহোদধৌম্য নামে এক ঋষি ছিলেন। তাঁহার উপমন্যু, আরুণি, ও ধৌম্য নামে তিন শিষ্য। তিনি পাঞ্চালদেশীয় আরুণি নামক শিষ্যকে ক্ষেত্রের আলি ৰন্ধন করিতে পাঠাইয়া দিলেন। পাঞ্চাল। আরুণি উপাধ্যায়ের আদেশানুসারে তথায় গমন করিলেন, কিন্তু আলি বন্ধন করিতে পারিলেন না। তিনি বিস্তর ক্লেশ স্বীকার করিয়াও কোন ক্রমে কৃতকার্য হইতে না পারিয়া, পরিশেষে এক উপায় দেখিয়া স্থির করিলেন, ভাল, ইহাই করিব। এই নিশ্চয় করিয়া তিনি সেই কেদারখণ্ডে শয়ন করিলেন। শয়ন করাতে জলনিৰ্গম নিবারিত হইল। পরে উপাধ্যায় আয়োদধৌম্য শিষদিগকে জিজ্ঞাসিলেন, পাঞ্চাল আরুণি কোথায় গেল? তাঁহারা বিনীত বচনে উত্তর করিলেন, ভগবনৃ! আপনি তাহাকে ক্ষেত্রের আলিবন্ধনার্থ প্রেরণ করিয়াছেন। ইহা শুনিয়া ঋষি শিষদিগকে কহিলেন, তবে চল আমরা সকলেই সেখানে যাই। অনন্তর তিনি তথায় গমন করিয়া এই বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে আহ্বান করিতে লাগিলেন, অহে বৎস পাঞ্চল্য অরুণি! তুমি কোথায় আছ, আইস। আরুণি উপাধ্যায়বাক্য শ্রবণ করিয়া সহসা সেই কেদারখগু হইতে গাত্রোত্থান পূর্বক তাহার নিকটে আসিয়া নিবেদন করিলেন, মহাশয়। আমি উপস্থিত হইয়াছি, কেদারখণ্ড হইতে যে জল নির্গত হইতেছিল, অরণীয় হওয়াতে তাহা খোধ করিবার নিমিত্ত তথায় শয়ন করিয়াছিলাম, এক্ষণে আপনকার শব্দ শুনিয়া সহসা কেদারখণ্ড বিদীর্ণ করিয়া আপনার নিকটে উপস্থিত হইলাম, অভিবাদন করি, এক্ষণে