পাতা:মহাভারত - উপক্রমণিকাভাগ - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পৌষ্যপর্ব্ব।
৭৯

তখন সেই পুরুষ কহিলেন, এই অশ্বের অপানদেশে অগ্নি প্রদান কর। তদনুসারে উতঙ্ক সেই অশের অপানে অগ্নি যোজন করিলেন। এইরূপ করাতে অশ্বের সমুদায় শরীররন্ধ হইতে ধূমসহিত অগ্নিশিখা নির্গত হইতে লাগিল। তদ্বারা নাগলোক উত্তাপিত হইলে, তক্ষক বকুল ও অগ্নির উত্তাপ ভুয়ে বিষন্ন হইয়া, হস্তে কুণ্ডল লইয়া সহসা স্বীয় অবস হইতে নিঞ্জন্তি হইলেন এবং উতঙ্ককে কহিলেন, কুগুল গ্রহণ কর। উতঙ্ক কুণ্ডল গ্রহণ করিয়া এই চিন্তা করিতে লাগিলেন, অষ্ট উপাধ্যায়নীর ব্রতদিবস, কিন্তু আমি অনেক দূরে আসিয়াছি, কি রূপে কার্য্য সিদ্ধি হইবেক।

 উতঙ্ককে এইরূপ চিন্তাবিষ্ট দেখিয়া সেই পুরুষ কহিলেন, উতঙ্ক! তুমি এই অশ্বে অরোহণ কর, এ তোমাকে ক্ষণকালমধ্যেই গুরুকুলে লইয়া যাইবেক। তদনুসারে উতঙ্ক সেই অশে আরোহণ করিয়া উপাধ্যায়গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন। উপাধ্যায়নী স্নান করিয়া উপবেশন পূর্বক কেশ সংস্কার করিতে করিতে উতঙ্ক আসিল না বলিয়া তাহাকে শাপ দিবার উদ্যম করিতেছেন, এই সময়ে তিনি উপাধ্যায়গৃহ প্রবেশ পূর্বক উপাধ্যায়নীকে অভিবাদন করিয়া কুণ্ডল প্রদান করিলেন। উপাধ্যায়নী কহিলেন, বৎস উতঙ্ক! যথাকালে ও যথাযোগ্য স্থানে উপস্থিত হইয়াছ, কেমন, সুখে আসিয়ছি? আমি ভাগ্যে অকারণে তোমাকে শাপ দি নাই। তোমার তত্ত্বজ্ঞান সম্পন্ন হইয়াছে, তুমি সিদ্ধি প্রাপ্ত হও।

 অনন্তর উতঙ্ক উপাধ্যায়ানীর নিকট বিদায় লইয়া উপাধ্যায়সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া অভিবাদন করিলেন। উপাধ্যায় সর্বাগ্রে স্বাগত জিজ্ঞাসা করিয়া কহিলেন, বৎস উতঙ্ক! এত