পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহা প্রয়াণ > o ○ বাড়ীতে উপস্থিত হইতে লাগিল। নানা স্থান হইতে টেলিফোন করিয়া নানালোকে মহারাজার এই মহাপ্রস্থানের বিস্তৃত সংবাদ শুনিতে লাগিল । র্তাহার প্রাণবায়ু বহির্গত হইবার এক ঘণ্টার মধ্যেই রাজবাটী জনাকীর্ণ হইয়া গেল । একদিকে সদ্য বিধবা মহারাণী, পিতৃহারা রাজকুমার ও রাজকন্যাগণের অরস্তুদ শোক অন্যদিকে অনুরাগী কৰ্ম্মচারিগণ এবং সহস্ৰ সহস্ৰ সমাগত গুণমুগ্ধগণের মৰ্ম্মান্তিক কাতরতায় রাজপ্রাসাদ গম্ভীরভাব ধারণ করিল। কাহারও মুখে কথা নাই—সকলেই নীরবে এই বিরাট শোকে আকুলিত হইয়া অশ্রুবিসর্জন করিতেছেন। অন্তর্জলীর পর পবিত্র শবদেহ, মালাচন্দন ও তুলসী দ্বারা সুসজ্জিত করিয়া শ্রীহরির নামাঙ্কিত পবিত্র নামাবলী বস্ত্রদ্ধারা আচ্ছাদিত করিয়া রাখা হয় এবং অবিশ্রাম হরিনাম করা হইতে থাকে । সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে এবং মৃত মহাত্মার অস্তিম ইচ্ছানুযায়ী তাহার শবদেহ কাশী মিত্রের ঘাটের যেখানে তাহার পিতা মাতার দেহ ভস্মীভূত করা হইয়াছে সেইস্থানে দাহ করা স্থির হয় এবং প্রত্যুষে শবদেহ শোভাযাত্রা সহ কাশী মিত্রের ঘাটে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করা হয় । শ্মশানে শোভাযাত্র । পরদিন প্রত্যুষে সূৰ্য্যাস্তের পূৰ্ব্বে বিভিন্ন মতাবলম্বী বিভিন্ন দলের নেতৃবর্গ, স্থানীয় জমিদার, সন্ত্রান্ত লোক এবং আপামর সাধারণ সকলে একত্রিত হইয়া বিরাট মিছিল দ্বারা শবদেহ সহ শশুনাভিমুখে অগ্রসর হইতে থাকেন। মিছিলের পুরোভাগে