পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 o 8 মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র জাতীয় পতাকা শোভিত হইয়া পরোলোকগত মহারাজাকে রাষ্ট্র নেতার যোগ্য সম্মান দেওয়া হয় । বাঙ্গালীর রাষ্ট্র স্বাধীনতার যে মূলমন্ত্র তাহ ১৯০৫ সনের আগষ্ট মাসে সৰ্ব্বপ্রথম মহারাজাই প্রচার করিয়াছিলেন । সুতরাং বৰ্ত্তমানে তিনি শুধু রাষ্ট্রনেতা বলিয়া নহেন, জাতির মুক্তি পথের সন্ধানদাতা বলিয়া সকলের সম্মানিত হইবার যোগ্য । লোকারণ্য শ্মশানভূমি শবদেহ শ্মশানে নীত হইবার পর তথায় আরও অধিক লোক সমাগম হয় । বেলা এগারটার সময়ও শবদেহ চিতায় স্থাপিত করিয়া অগ্নিসংস্কার করা হয় নাই । তখন কাশী মিত্রের ঘাট লোকে লোকারণ্য হইয়া গিয়াছে । মাটীতে দাড়াইবার স্থান মাত্র না পাইয়া বহুলোক শ্মশানগৃহের ছাদে এবং নিকটস্থ গাছের ডালে উঠিয়া একবার মহারাজার পার্থিক দেহ শেষ দেখা দেখিয়া লইতেছে । আজ পর্য্যস্ত দেশে অনেক মহাপুরুষ, অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা জন্মগ্রহণ করিয়া পরলোক গমন করিয়াছেন কিন্তু দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর মত এমন গৌরবময় মৃত্যু কয় জনের অদৃষ্টে ঘটিয়াছে ; কত জনের মৃত্যুতে ব্যথিত হইয়া দেশ এমন হৃদয়ভেদী বিলাপ করিয়াছে ? অার কত জনের মৃত্যুতেই বা দেশের এমন সৰ্ব্বনাশ হইয়া গিয়াছে। জগতের কেহ স্বীকার করুক বা নাই করুক—তাহাতে কিছুমাত্র