পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եr মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী তিনি বন্ধুকে শিল্প প্রতিষ্ঠায় অবহিত হইতে অনুরোধ করিলে বন্ধু যখন শিল্প প্রতিষ্ঠায় লোকসানের সম্ভাবনার উল্লেখ করিলেন, মহারাজা তখন বলিলেন, “আমিও ত অনেক লোকশান দিয়াছি ; কিন্তু সেই জন্ত যদি আমরা অগ্রণী ন হই, তবে দেশে কিরূপে শিল্প প্রতিষ্ঠিত হইবে—অন্ত লোক কিরূপে সাহস পাইবে ?” অর্থাৎ অভিজ্ঞতা লাভের জন্য যে ব্যয় অনিবাৰ্য্য তাহ ধনীরাই বহন করিবেন। তিনি দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহশীল ছিলেন বলিয়াই কলিকাতায় কংগ্রেসের সঙ্গে প্রথম যে প্রদর্শনী হইয়াছিল, দেশপূজ্য স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহাকে তাহার উদ্বোধন করিবার কার্যে। বৃত করিয়াছিলেন। তাহার সাহিত্যাকুরাগের নিদর্শন—বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দির । পরিষদ যখন স্থাপিত হয় তখন শোভাবাজারে রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেবের গৃহে তাছার আশ্রয় মিলিয়াছিল। তাছার পর ব্যক্তিবিশেষের গৃহে এইরূপ প্রতিষ্ঠান না থাকাই সঙ্গত বিবেচনা করিয়া তাহাকে স্থানান্তরিত করা হয় ভাড়া বাড়ীতে—শু্যামপুকুর স্ট্রীট ও কর্ণওয়ালিস স্ত্রীটের সংযোগ স্থানে—পরিষদকে স্থানান্তরিত করিয়া তাহার গৃহ নিৰ্ম্মাণ কল্পনা হয়। যখন আচাৰ্য্য রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী, ঐতিহাসিক রজনীকান্ত গুপ্ত, সাহিত্যিক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি, সাহিত্যরসিক রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরী, কবিবর শ্ৰীযুত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কোবিদ শ্ৰীযুত হীরেন্দ্রনাথ দত্ত, কুমার ঐশরৎকুমার রায় প্রভৃতি তাহার উপায় উদ্ভাবনে ব্যস্ত তখন চারুচন্দ্র ঘোষ মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্রের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিবার প্রস্তাব করেন। তদনুসারে পরিষদের পক্ষ হইতে কয়জন কাশিমবাজারে গমন করেন। তাছাদিগের প্রস্তাব শুনিয়াই মহারাজা সাননো পরিষদ মন্দিরের জন্ত আবশুক জমি দান করিতে প্রতিশ্রত হয়েন। পরিষদকে মণীন্দ্ৰচক্সের দান ইহাতেই শেষ হয় নাই। ইহার পর ৰখন পরিষদের