পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা শুর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী 3> প্রসারবৃদ্ধি হয়, তখনও রমেশ ভবনের জন্য তিনি ভূমি দান করিয়াছিলেন । আজিকে যে বঙ্গীয় সাহিত্য সন্মিলন বার্ষিক অনুষ্ঠানে পরিণত হইয়াছে, মণীন্দ্রচন্দ্রই তাছার স্রষ্টা । তিনিই রামেন্দ্রস্থনর ত্রিবেদী মহাশয়ের বৎসর বৎসর বাঙ্গালার সাহিত্যিকদিগকে এক কেন্দ্রে সম্মিলিত করিবার কল্পনাকে মূৰ্ত্তি দান করিয়াছিলেন এবং তাঁহারই আহানে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে কাশিমবাজার রাজ বাড়ীতে সাহিত্য সম্মিললের প্রথম অধিবেশন হয়। পরবর্তী কয়টি অধিবেশনেও তিনি উপস্থিত এবং একবার অধিবেশনে হোতার কাজও করিয়াছিলেন । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের রাজনীতিক কার্য্যের কথা বিস্তুত কইলে বাঙ্গালীর ললাটে কুতন্ত্রতার অনপনেয় কলঙ্ক চিহ্ন চিহ্নিত হইবে । সকল দেশের—বিশেষ বিজিত দেশের রাজনীতিক আন্দোলনের মূল মন্ত্ৰ— “অাগে চল, আগে চল ভাই ।” যে কংগ্রেস আজ স্বাধিনতাই আদর্শ বলিয়া ঘোষণা করিতেছে সেই কংগ্রেস কি উদ্দেশ্য লইয়। অবতীর্ণ হইয়াছিল তাঙ্কা বিবেচনা করিলেই এই কথার যাথার্থ্য বুঝিতে পারা যাইবে । সেই জন্যই ম্যাটসিনীর শিষ্য সুরেন্দ্রনাথও শেষে তরুণদের নিকট অগ্রগামী নহেন বলিয়। বিবেচিত হইয়াছিলেন। কিন্তু যাহার। তাহাকে নেতৃত্বের আসন দানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করিয়াছিলে, তাহারা সুরেন্দ্র নাথেরই রচিত বেদীর উপর দণ্ডায়মান ছিলেন । তেমনই বাঙ্গালার সঙ্কট সময়ে মণীন্দ্রচন্দ্র যাহা করিয়াছিলেন, তাহা বাঙ্গালার রাজনীতিক উন্নতির ইতিহাসে অক্ষরে অক্ষরে লিখিত থাকিবে। তখন বঙ্গভঙ্গ উপলক্ষ করিয়া বাঙ্গালীর নবজাগ্রত দেশাত্মবোধ আত্মপ্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর । লর্ড কার্জনের বিধানে বাঙ্গালার জনমতের বিরুদ্ধে বঙ্গদেশ দ্বিধা বিভক্ত হইবে। একদিকে গুণ্ডার লাঠি ও বন্দুক বেয়নেটে শক্তিশালী রাজপুরুষদিগের জিদ, আর একদিকে অহিংস