পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীজচত্র ননদী ఏ ప్రా যাত্রা-রীতিতেই তাহা বিশেষরূপে দেখাইয়া গিয়াছেন । তিনি আপনার জন্ত এত অল্প ব্যয় করিতেন এবং তাছার পরের জন্য ব্যয়ের তুলনায় তাহা কিরূপ নগণ্য তাহা বিবেচনা করিলে সত্য সত্যই বিস্মিত হইতে হয় এবং তাহার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ না করিয়া থাকা যায় না । মানুষের— বিশেষ তাছার স্বদেশবাসীর সেবাই মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র জীবনের ব্ৰত করিয়াছিলেন । সে সেবা তিনি কিরূপ নিষ্ঠ সহকারে— কিরূপ ঐকাস্তিক আগ্রহ সহকারে—কিরূপ আনন্দে করিয়া গিয়াছেন তাহা আজ র্তাহার অভাব তাহার দেশবাসীকে বিশেষভাবে বুঝাইয়া দিতেছে । তিনি দেশে শিক্ষাবিস্তার কার্য্যে কিরূপে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন আমরা তাহার উল্লেখ করিয়াছি। তিনি দেশের দারিদ্র্যে ব্যথিত হইয়া কিরূপে শিল্পপ্রতিষ্ঠায় অগ্রণী হইয়াছিলেন সে কথাও বলিয়াছি । তিনি দেশবাসীর রাজনীতিক অধিকার বিস্তারে কিরূপ সচেষ্ট ছিলেন, তাহাও দেখাইয়াছি। তিনি কিরূপে দয়ার প্রবাহে বিষয় বুদ্ধি ভাসাইয়া দিতেন, তাহা কাহারও অবিদিত নাই। দেশের ব্যথিত— পীড়িত ব্যক্তিদিগের দুঃখেও তাহার হৃদয় ব্যথিত হইয়াছিল। বহরমপুরে জলের কলের বিস্তার সাধন করিয়া স্বপেয় বারি প্রদান জন্য তিনি প্রভূত অর্থব্যয় করিয়াছিলেন ; তিনি বহরমপুরে চিকিৎসা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্ত যখন লক্ষ টাকা দান করিয়াছিলেন, তখন র্তাহাকে নানাদিকে ব্যয় সঙ্কোচ করিতে বাধ্য হইতে হইয়াছিল ; তিনি বহরমপুরে একটি হাসপাতাল পরিচালিত করিতেন ; তিনি নানাস্থানে দাতব্য চিকিৎসালয়ের ব্যয়ভার বহন করিতেন ; তিনি কলিকাতার বেলগাছিয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ দান করিয়াছিলেন ; জাতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান পরিষদও তাহার সাহাৰ্যলাভে বঞ্চিত হয় নাই । এ সকলই তাহার জনসেবার নিদর্শন। বাঙ্গালা যে জনহিতকর অম্বষ্ঠানে দানের জন্ত ভারতের প্রদেশসমূহের