মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী ఫి వె আশ্চৰ্য্য এই যে বৃন্দাবনে দু’চার দিন থাকতেই দেখি মুখের সে বিকৃতি কোথায় মিলিয়ে গিয়েছে। মনের জোরে যে মানুষ কঠিন রোগকেও জয় করতে পারে এ মহারাজার জীবনে বহুবার দেখা গেছে —এই মনের জোর মৃত্যুর অব্যবহিত পূৰ্ব্বে তার কমে এসেছিল—একদিন বললেন— আর সময় অগিয়ে আসছে—দুৰ্ব্বলতা অনুভব করছি—এ যুদ্ধ আর বোধ হয় বেশীদিন চলবেনা”—শুনে আশঙ্কা হয়েছিল —অত্যুঙ্গ পৰ্ব্বতের গায়েও কালের ছোয়াচ লাগে ! বৃন্দাবনে আমরা প্রায় একমাস ছিলাম। এসময় তাকে যেন একেবারে অস্তরের কাছে পেয়েছিলাম। একদিকে দৈনন্দিন জীবনের খুটি নাটি ঘটনার পরিচয়, অন্যদিকে তার অপরাজেয় চরিত্র্য শক্তির বিকাশ-এ যে না দেখেছে, না অনুভব করেছে তাকে বুঝান কঠিন । মহারাজার সঙ্গে প্রতিদিন সকালে বেড়াতে বের হ’তাম —গাড়ীর কথা শুনলে ক্ষুন্ন ক’তেন। ‘বৃন্দাবনে এসেও গাড়ী চড়ব ?” যে আপনার সমস্ত মর্য্যাদা - জনারণ্যে বিলিয়ে দিয়েছে তার মর্য্যাদা রাখবার জন্য আমরা ব্যস্ত হয়ে শুধু নিজেদেরই অপমান করতাম। “আপনার পাট একটু ফুলো মনে হচ্ছে হাটুলে বাড়বে না?”—“তুমি বোঝন। হাটলে ওটা সেরে যাবে ”— বৃন্দাবনে রোজ একবার করে একটা ভাল বাড়ী বাগান সমেত ( কুঞ্জ ) ভাল যায়গায় খোজবার জন্য মহারাজা বের হতেন—আমি ও ছেমস্তদা প্রায়ই সঙ্গে থাকৃতাম । পথ চলতে দু’পাচ মিনিট অন্তর পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা—প্রত্যেককেই মাথা মুইয়ে অভিবাদন—“হামারা বহু ভাগ, আপকা দর্শন মিলা”—উত্তরে পথিক বললেন—“মেরা আজ সুপ্রভাত—রাজদর্শন মিলা”—ইত্যাদি । একদিন মহারাজা যমুনার ধার দিয়ে চলেছেন-সঙ্গে মাত্র একজন