পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ মহারাজা শুর মণীন্দ্রচন্দ্র ননদী আছেন। বিষ্ণু বাবু হেমেন্দ্র বাবুরও ক্ষমতা নাই—আগে খেতে বসেন। আমি গিয়ে আসনে বসতেই একটু মুছ হেসে মহারাজ বললেন—“আচ্ছা, এবার বসা যাক”—আমার দিকে চেয়ে বললেন —“সাবিত্ৰী বুঝি খুব শীত-কাতুরে ?”—আমি রাম গঙ্গা কিছু না বলে—ভাবতে লাগলাম — এমনি করে চিরদিন এই মামুষের কাছে থেকেও যাদের মনুষ্যত্ব অর্জন হয় না—তারা সত্যই দুর্ভাগা । মহারাজ কুমারের চিঠি প্রায় রোজই আসত—দু এক দিন দেরী হলে মহারাজা ব্যস্ত হ’য়ে উঠতেন। বৃন্দাবনে পৌছে অবধি মহারাজার প্রাইভেট সেক্রেটারী হিসাবে আমি কাজ করতাম এবং সেই ভাবেই আমাকে পরিচিত করা হ’ত। কোনও চিঠিতে সেক্রেটারী বলে নাম সই করতে ইতস্তত: করে যদি জিজ্ঞাসা করতাম—“কি নামে চিঠিখানা যাবে ?—” মহারাজ গম্ভীর ভাবে উত্তর দিতেন “Paivate Sercet&ry to the Maharaja, Kasimbazar” অামার ফাউনটেন পেনটিতে তিনি প্রত্যহ নাম সই করতেন—আর বলতেন—“তোমার কলমটি বেশ কিন্তু—কত দাম ?—আমার এ জীবনে আর ওসব হ’ল না ।”— লজ্জিত হয়েছি বুঝতে পেরে বলতেম—“তবে যে কাল পড়েছে তাতে দোয়াতে কলম ডোবাবার সময় কৈ ?—ওতে কাজের স্থবিধে অনেক ।” মহারাজকুমারের চিঠি এলে সেখানি আগে খুলে মহারাজাকে দিতে হ’ত—একদিন সে চিঠি পেতে দেরী হলে—বলতেন—“ব্যাপার কি বল দেখি, কুমারের চিঠি কৈ ?” আর একদিন এমনি দেরী হওয়াতে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন—“তোমার কাছে কোনও চিঠি এসেছে ?”—আমার কাছে সত্যই সেদিন কুমারের চিঠি এসেছিল । ( মহারাজার চিঠিখানি ডেলিভারীর গোলমালে বৈকালে আমরা পেয়েছিলাম ) আমি মহা কুষ্ঠায়