পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী a ○ পড়লাম। আমার কথা কইবার আগেই বললেন—“সব ভাল আছে তো” আমি বললাম “হঁ৷”—কুমারের প্রতি সেদিন তার যে বিরক্তির ভাব এসেছিল তার মধ্যে পিতৃস্নেহের মধুর Jealousy আছে, আমার লজ্জিত হ’বার কিছু তাতে ছিল না । বৃন্দাবন থেকে বর্ষণ প্রভৃতি স্থান ঘুরে এলাম। সেখানে ব্রাহ্মণদের লাড, খাওয়ান হ’ল। এ নাকি মহারাজা গেলেই তাদের বরাদ্দ ছিল । তাদের খাওয়া দেখে মহারাজার কি আনন্দ । বর্ষণ পাহাড়ে মহারাজা বিকানীরের একটা প্রাসাদ আছে সেখানে উঠবার সময়—মহারাজার কষ্ট হচ্ছে বেশ বুঝতে পারলাম—এমন কি আমার যেন মনে হ’ল তার Heart Palpitation হচ্ছে—কিন্তু নিজের রোগের কথা তিনি কখনও প্রকাশ করতেন না - যত কষ্ট হচ্ছে ততই তিনি এক একবার দাড়িয়ে এটা ওই, ওটা সেই ইত্যাদি বলে দিবার ফঁাকে নিজেকে সামলে নিতে লাগলেন। Palpitation যে সেদিন হয়েছিল তা স্বীকার করেছিলেন— আমার কাছে দশ বার দিন পরে কি একটা কথার প্রসঙ্গে । মোটরে চড়ে বসলে—মোটর দ্রুত না চললে মহারাজা বিরক্ত হতেন । বর্ষীণ থেকে ফেরবার পথে দ্রুতগামী মোটর বাসের সাশী ভেঙ্গে মহারাজার মাথার ঠিক কাছ দিয়ে আমার পায়ের উপর পড়ে ভেঙ্গে গেল—আমি বললাম—“ভগবান আপনাকে রক্ষণ করেছেন” মহারাজা বললেন— “ভগবানই ত রক্ষা করেন”—তার পর সারা পথ তিনি একটা কি যেন বিশেষ চিন্তা করতে করতে পুলিনকুঞ্জে ফিরে এলেন । এই দুর্ঘটনার জন্ত আমার মনটা যেন কেমন ক্ষুন্ন হয়ে রইল । তার পরের দিনই গিরিগোবৰ্দ্ধন যাওয়ার আয়োজন। ভোরে উঠেই দেখি যে, যে পাওঠাকুরের উপর মোটর ঠিক করার ভার ছিল—মাত্র চারি টাকার কৈফিয়ৎ দেখিয়ে মহারাজার নিকট বাহাদুরী নেবার লোভে