পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজী স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র ননদী ३१ v —সে কি জনতা, আমি জীবনে এমন দেখিনি=অীর দেখবও না । সবাই বিস্ময়বিস্ফারিত নেত্রে চেয়ে দেখছে কে এই সামান্ত পরিচ্ছদধারী বাঙালী, যাকে সসম্মানে শোভাযাত্রা করে, শঙ্খ ঘণ্টা বাজিয়ে নিয়ে চলেছে কৌপীনবস্ত সন্ন্যাসীর দল ? মনে হল—এদের সঙ্গে এই রাজাসন্ন্যাসীটির যে নাড়ীর যোগ আছে । বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের চরিত্র ওজনের নিভিতে মহারাজার ওজনও বেশ চলতে পারে। চারিদিকে মহারাজের বিপুল জয়ধ্বনি—মাঝে মাঝে মহারাজের দিকে চেয়ে দেখছিলাম আর আনন্দে, সারা বুকটা ভরে উঠছিল—এই ভেবে যে ইনি আমাদেরই :মহারাজা, আমাদেরি একান্ত আপনার জন পরমাত্মীয় বাঙালী । মহারাজার বন্ধু, ষ্টেট কাউন্সিলের একজন হিন্দুস্থানী ধনকুবেরের বাঙ্গলো খানি ভীমগোদায়, ঠিক গঙ্গার উপরই অবস্থিত । সেইখানেই আমাদের থাকার জায়গা হয়েছিল। অতি মনোরম স্থান। একটি কামিনী গাছ তলার বেদীর উপর বসেই মহা আরামে মহারাজা বললেন— “আ: বাচা গেল। হরিদ্বারে একখানা ছোট বাড়ী কিনতে হবে।” * সে আশা তার আর পূর্ণ হ’ল না । দেখিছি বৃন্দাবনের চাইতেও তিনি হরিদ্বার বেশী পছন্দ করতেন । আমরা হরিদ্বারে কয়েক ঘণ্টা থাকার পরই যেভাবে দর্শকের সংখ্যা বাড়তে লাগল, তাতে মনে হ’ল মহারাজার আগমন বাৰ্ত্তা ইতি মধ্যেই চারিদিকে রটে গেছে । সেই বিপুল জন সমাগম—কে কাকে চেনে কিন্তু কাশিমবাজারের দানবীরকে দেখবার জন্য প্রত্যহ বিভিন্ন দেশবাসী নরনারীর যে প্রকার সমাগম হ’ত তাতে মনে হয়েছে ষে- তার সৎকার্য্যে দান দেশ বিদেশে শ্ৰুতকীৰ্ত্তির মত অমর হয়েই থাকবে। ቈ‛ পাঞ্জাবীদের দেখতাম সব চেয়ে ভক্তি বেশী মহারাজার উপর । তাকে তারা বলত ‘দেবতা মহারাজকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করে তারা