পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র চলিয়া আসিবে । মাতুলের অন্নে প্রতিপালিত হইয়া ইনি বিদ্যাশিক্ষা করিতে লাগিলেন এবং যথাসময় প্রবেশিকা ও ফাষ্ট1 আর্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন । এই সময় তাহার আবার ভাগ্যবিপৰ্য্যয় ঘটে এবং তিনি মাতুলের আশ্রয় পরিত্যাগ করিয়া আসিতে বাধ্য হন । এই সময় কাশিমবাজার বাজবাটীতে সম্পত্তি তত্ত্বাবধান লইয়া সামান্ত গোলযোগ চলিতেছিল। ১৮৪৪ অক্টোবর মাসে মণীন্দ্রচন্দ্রের মাতুল কাশীমবাজারাধিপতি রাজা কৃষ্ণনাথ অজ্ঞাত কারণে আত্মহত্যা করিয়াছিলেন এবং মৃত্যুর পূৰ্ব্বে একখানি উইল দ্বারা র্তাহার যাবতীয় সম্পত্তি কোম্পানী বাহাদুরের হস্তে ন্যস্ত করিয়া যান। র্তাহার মৃত্যুর পর তদীয় পত্নী ও উত্তরাধিকারিণী মহারাণী স্বর্ণময়ী কোম্পানীর হাতে কিছুদিনের জন্য সম্পত্তি ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হন এবং ঐ সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কোম্পানী বাহাতুরের নামে সদর দেওয়ানী আদালতে এক মোকৰ্দমা চালাইতে থাকেন । এই সময় রাজীব লোচন রায় নামক এক সূক্ষ্মদর্শী চতুর বিষয়কৌশলী ব্যক্তি মহারাণীকে এই মোকৰ্দমা পরিচালনায় বিশেষরূপ সাহায্য করায় ১৮৪৭ খৃঃ, ১৫ই নভেম্বর তারিখে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে কোম্পানীর বিরুদ্ধে মহারাণী স্বর্ণময়ী জয়লাভ করেন। উইল করিবার সময় রাজা কৃষ্ণনাথ প্রকৃতিস্থ ছিলেন না ইহা সপ্রমান করায় উইল সম্পূর্ণ নামঞ্জুর হইয়া যায় এবং মহারাণী সম্পত্তিতে স্বীয় অধিকার ফিরিয়া পান ।