পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্বত্যাগী মণীন্দ্রচন্দ্র [ শ্রমৃত্যগোপাল সরকার } প্রায় ৩৮ বৎসর পূৰ্ব্বে, তখন বহরমপুর কলেজে বি, এ, ক্লাসে পড়ি । একদিন অপরাহ্লে কলেজ হইতে বাট প্রত্যাগমন কালে, এখন ষ্ট্যাও রোডের যে স্থানে বহরমপুর মধ্যবঙ্গবিদ্যালয় অবস্থিত, তাহার নিকটে আমার সমবয়স্ক এক যুবক, পরে জানিলাম রাজেন—আমাকে আসিয়া জানালেন যে, তাছার মাতুল মহাশয় আমাকে ডাকিতেছেন। যুবককে অনুসরণ করিয়া পরলোকগত ডাঃ রামদাস সেন মহাশরেরর বাটীর নিকটস্থ একটি ভাড়াটিয়া বাটতে গেলে, এক মুত্র সৌম্য মূৰ্ত্তি আসিয়া স্নিগ্ধহাস্তোজ্জল মুখে সাদর সম্ভাষণ জানাইয়া তাহার পরিবারস্থ কয়েকটি বালককে পরদিন কলেজ যাইবার পথে সঙ্গে করিয়া লইয়া গিয়া বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করিয়া দিতে অনুরোধ করিলেন। অনুরোধ যৎসামান্ত, কিন্তু বে: ভাবে, যে মধুর সলজ্জ বিনয়ের সহিত অমুরুদ্ধ হইয়াছিলাম, বোধ করি অনুরোধ কঠিন হইলেও তাই প্রত্যাখানের উপায় থাকিত না। কাণীমবাজারের ভাবী অধীশ্বর, বাঙ্গালার গৌরব-রবি, মণীন্দ্রচন্দ্রের সহিত ঐ ভারাটীয়া বাটীতে এইরূপে আমার প্রথম পরিচয় স্থাপিত হইল । তাহার পর, তাহার রাজ্যলাভের পূৰ্ব্বে কয়েকবৎসর ধরিয়া নানা কাৰ্য্যে ও নানা উপলক্ষে সেই পরিচয় উত্তরোত্তর গাঢ় ও ঘনিষ্ঠ হইতে লাগিল। বহরমপুরের সেনবংশীয় জমিদার বাবুগণের সহিত তাহার অতিশয় হৃদ্যতা ছিল, তিনি যখন জানিলেন যে আমি তাহদের সহিত আত্মীয়ত} স্বত্রে আবদ্ধ তখন তিনি অধিকতর স্নেহে আমাকে টানিয়া লইলেন।