পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী Oළ: ভবিষ্যৎ জীবনে তাহার যে সকল সদগুণের চরমজুৰ্ত্তি পাইয়াছিল, ঐ সময়েও কিন্তু তাহার কোনটীরই একান্ত অভাব দেখিতে পাই নাই। অসীম সহিষ্ণুতা, অসাধারণ চিত্তসংযম, মনের গভীর ঔদার্য্য, মধুর আলাপন, দু:স্থের সাহায্য, ধৰ্ম্মে প্রগাঢ় ভক্তি প্রভৃতি সকল গুণেরই তিনি তখনও অধিকারী ছিলেন, রাজ্যপ্রাপ্তির সহিত এগুলি লাভ করেন নাই । পরিবারের মধ্যে তিনি তাহাকে দিয়াই যে মহান আদর্শ সম্মুখে স্থাপন করিয়াছিলেন, সে আদেশ পরিবারের অন্তান্ত সকলেই অনুসরণ করিবার স্বধোগ পাইয়াছিলেন, ফলে নন্দী পরিবারের ভিতরে সর্বদাই একটা স্বন্দর প্রীতিভাব বিরাজ করিত। ঐ সময়েই বহরমপুর ওয়ার্ড হইতে মিউনিসিপালিটীর কমিশনার হইবার প্রার্থী হওয়ায় তাহার জনসেবার্থে আত্মনিয়োগের স্পৃহার পরিচয়ও সকলে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । বলাবাহুল্য প্রার্থী হইয়া তিনি সফলকাম হইয়াছিলেন এবং সফলকাম হইয়াই তিনি র্তাহার কৰ্ত্তব্যের অবসান মনে করেন নাই, বহরমপুর ওয়ার্ডের সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করিতেন । তাহার স্বভাবের মাধুর্য্যগুণে রাজা হইবার পূৰ্ব্বে জনসাধারণের অন্তরে তিনি কতখানি স্থান অধিকার করিয়া লইতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত, ১৩০৪ সালে তাহার রাজ্যলাভ করিয়া কলিকাতা হইতে আজিমগঞ্জের পথে ষ্টীমারে আসিয়া vহরিবাবুর বাধা ঘাটে অবতরণের সময় সেই বিরাট জনতার বিপুল আনন্দোল্লাস। অগণিত লোক-সমুদ্রের মধ্যে উখিত সঘন জয়ধ্বনি আকাশ বাতাস পরিব্যাপ্ত করিয়া ফেলিল, সহস্ৰ সহস্ৰ শুভাকাঙ্ক্ষী প্রবীণের আশীৰ্ব্বাদ, সহস্ৰ সহস্ৰ অকপট বন্ধুর স্নেহালিঙ্গন, সহস্ৰ সহস্র বয়োকনিষ্ঠের নমস্কার লাভ করিয়া মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র ঘাটে উঠিলেন এবং সেই বিরাট জনতা সমভিব্যহারে প্রথমতঃ বন্ধুবর বিষ্ণুচরণ সেন জমিদার মহাশরের