পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ΨΟύ মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী স্বপরিচিত বাগান বাটতে উঠিয়া অসামান্ত বন্ধু প্রীতির পরিচয় দিয়া, তথা নিজেকে সাধারণের নিকট প্রিয় কইতে প্রিয়তর করিয়া, তবে মহাসমারোহে মিছিলি যোগে কাশীমবাজার রাজবাটীতে গিয়া রাজতক্তে উপবেশন করিলেন। সেই বৎসরই বড়দিনের ছুটির সময় কাশীমবাজারে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলে নানাকথার সহিত ইহfও বলিয়াছিলাম যে, বিদেশে চাকুরী মন:পুত হইতেছে না । তিনি তৎক্ষণাৎ কহিলেন, “ও চাকুরী আর করিতে হইবে না—আপনি এখানে আসিয়া আমাফে সাহায্য করুন * গভর্ণমেণ্টের চাকুরী ত্যাগ করিয়া আসিলাম । তাহার পর হইতে এযাবৎ, এই সুদীর্ঘ ৩২।৩৩ বৎসর কাল প্রতিদিন যে দেশবরেণ্য মহাপুরুষের, যে দানবীর ও কৰ্ম্মবীরের অতি সান্নিধ্যে র্তাহার সহচর, অমুচর ও পার্শ্বচরক্কপে—জীবন যাপন করিয়া গৌরব অকুভব করিয়াছি, যে স্পর্শমণির সংস্পর্শে আসিয়া সতত নিজেকে ধন্ত মনে করিয়াছি-আজ তিনি নাই ! হায়রে । কাশীমবাজারে নাই, সৈদাবাদে নাই, কলিকাতার হর্ম্যে নাই, স্বর্গাদপি গরীয়সী বঙ্গভূমে, অথবা এই বিস্তীর্ণ ধরাধামের কোথাও নাই, খুজিয়া পাই না । মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র চলিয়া গিয়াছেন, পশ্চাতে শত-সহস্ৰ-লক্ষাধিক কীৰ্ত্তিস্তম্ভ শাশ্বতকালের নিমিত্ত প্রোথিত করিয়া চলিয়া গিয়াছেন, তাহার হতভাগ্য দেশ যখন র্তাহাকে আরও—আরও—বেশী করিয়া পাইবার প্রয়োজন অমুভব করিতেছিল, ঠিক সেই সময়ে তিনি চলিয়া গিয়াছেন। কত কথাই না আজ মনে পড়িতেছে, এক এক করিয়া প্রতিদিনের কত ঘটনা-কত সুখ দুঃখ বিজড়িত স্মৃতি মনের প্রতি কোণে কোণে ভাসিয়। উঠিতেছে—লিখিয়া কত জানাইব ? প্রতিদিনই ত তাহার অমিয়মাখ।