পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী רסי চরিত্রের নব নব বিকাশ দেখিয়া বিমোহিত হইয়া গিয়াছি—লিখিয়া কি তাহা জানান যায় ? রাজ্যলাভের কিছুকাল পরেই মহারাজা যখন প্রথম মফঃস্বল পরিদর্শনে বহির্গত হইয়া নানাস্থানে ঘুরিয়া বনগাওয়ে তাবু করিলেন, তখন সেই রাত্রিতে র্তাহারই তাবুর ভিতর বহরমপুরের স্বনামধন্ত ডাক্তার vব্রজেন্দ্রকুমার সেন মহাশয় ও আমি শয়ন করিয়াছিলাম। আমার ও ব্রজেন্দ্রবাবুর উভয়েরই নিদ্রাকালে উচ্চ নাসিক্যধ্বনি হইত। গভীর রাত্রিতে বাহিরে যাইবার প্রয়োজনে নিদ্রাভঙ্গ হইলে দেখিলাম মহারাজা দুই হাত গগুদেশে স্থাপন করিয়া চুপ করিয়া শষ্যার উপরে বসিয়া আছেন। কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন, “দুই পাশের এত শব্দে কি ঘুম আসে ?” লজ্জিত ও ব্যথিত হইয়া আমি প্রস্তাব করিলাম, আর কোন তাবুতে গিয়া ঘুমাই ; কিন্তু সমস্ত রাত্রি জাগরণের ক্লেশ উপেক্ষ করিয়া সেই পরম সহিষ্ণু পুরুষ কিছুতেই এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না। আর এক দিনের ঘটনা বলি ;—মহারাজার পছন্দসই একটী নবক্রীত বহুমূল্য পরিচ্ছদের ভিতরে সীতানাথ নামক র্তাহার জনৈক খানসামা কি ভাবিয়া একটা ফুললতেলের বোতল রাখিয়া দেয়, এবং পরে দৈবক্রমে ঐ বোতল ভাঙ্গিয়া গেলে পরিচ্ছদটা একেবারে নষ্ট হইয়া যায় । সক্রোধে আমি কহিলাম, "লোকটাকে এই মুহুর্তে বিদায় করে দেওয়া উচিৎ", শুনিয়া দয়ার অবতার মণীন্দ্রচন্দ্র ধীরে কহিলেন, “তাইত, বিদায় দিলে যাবে কোথায়, খায় কি ?” আরও একদিন, র্তাহার নিকটে বসিয়া অাছি, এমন সময় তাহার ফরাসথানার দারোগ। তারকবাবু আসিয়া অভিযোগ করিলেন, “দেখুন, বড় ঝাড় তাহার বৃদ্ধ ফরাস ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে ;” শুনিয়া বিচারক মহারাজ কহিলেন, “দেখুন, আগে খোজ নিন, যদি তার অসাবধানতার জন্ত ঝাড় ভেঙ্গে থাকে তবে তার শাস্তি