পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নদী 8 S উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, “অষথা নামের জন্ত অর্থব্যয় করিও না” ? যাহাই হউক, খৃষ্টীয় ১৮৯৮ সালের ৩০শে মে তারিখে (বাং ১৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৫ ) তিনি “মহারাজা” খেতাব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, এবং তাঙ্কার অসীম গুণবেত্তার উত্তরোত্তর পরিচয় প্রাপ্ত হইয়া, ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে, মহামান্ত ভারত-সম্রাটের জন্মদিন উপলক্ষে, ৩রা জুন তারিখে, সরকার তাহার প্রতি অত্যুচ্চ সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্ত র্তাহাকে “কে, সি, আই, ই” উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। এই উপাধি মহারাজার সম্মান বৃদ্ধি করিয়াছে, কি মহারাজার আশ্রয় পাইয়া তাহারই মর্য্যাদা বাড়িয়া গিয়াছে, সে বিচার আজ নাই করিলাম, কিন্তু বিদেশী সরকারও ত তাহার গুণের তারিফ, না করিয়া থাকিতে পারেন নাই। ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত হইয়। ১৯০১ খৃষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর মাস হইতে ১৯৯৪ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, এবং পুনরায় ১৯০৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ই ডিসেম্বর হইতে ১৯১২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্য্যস্ত তিনি বেঙ্গল কাউন্সিলের মেম্বর (সদস্ত) ছিলেন ; ১৯১৩ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী হইতে ১৯১৬ খৃষ্টাব্দের জুন মাস পর্য্যস্ত তিনি বঙ্গদেশ ও আসাম বিভাগ হইতে মনোনীত সদস্তরূপে ভারত সরকারের ইম্পিরিয়াল কাউন্সিল অলঙ্কত করিয়াছিলেন, এবং ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশান পুনরায় তাহাকে নিৰ্ব্বাচন করিয়া মেস্বররূপে কাউন্সিল অব ষ্টেটু এ প্রেরণ করিয়াছিলেন ; এই যাবতীয় সময়েই তিনি ‘অনারেবল মহারাজা” বলিয়া অভিহিত হইতেন। কয়েক বৎসর পুৰ্ব্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে “অনারারী ফেলো” নিযুক্ত করিয়া তাহার নিকট বিপুল ঋণের কথঞ্চিৎমাত্র পরিশোধ করিবার সুযোগ -পাইয়াছিলেন । এতদ্ভিন্ন, বঙ্গাব্দ ১৩১৫ সালে বৈষ্ণব গোস্বামী প্রভুগণ প্রদত্ত ‘শ্ৰীগৌড়রাজর্ষি" ও ১৩১৬ সালে প্রদত্ত ‘ধৰ্ম্মরাজ" উপাধি, ১৩১৭