পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্য ও কৈশোর S X. এই মোকদ্দমার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিবার জন্ত মহারাণীকে বিস্তর ঋণ করিতে হইয়াছিল । সম্পত্তির উওরাধিকার ফিরিয়া পাইয়া ইনি দেওয়ান রাজীব লোচন রায়ের সহযোগীতায় সম্পত্তির আয়বৃদ্ধি এবং ব্যয় সংক্ষেপ প্রভৃতি নানাপ্রকার উপায় নিৰ্দ্ধারণ পূৰ্ব্বক ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করিতে লাগিলেন । মহারাণী স্বর্ণময়ীর আত্মীয় স্বজনের ইচ্ছা ছিল যে মহারাণীর মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি তাহার ভ্রাতুস্পপুত্রদের হস্তে চলিয়া আসে । এজন্ত তাহারা যথাসাধ্য চেষ্টাও করিতেছিলেন । মণীন্দ্রচন্দ্র যখন কাশিমবাজার রাজবাটীতে তখন এই সকল লোক তাহাকে স্বার্থসিদ্ধির পরিপন্থী মনে করিয়া অত্যন্ত বিদ্বেষের চক্ষে দেখিতেন ; এবং সুযোগ সুবিধা পাইলেই অত্যন্ত নিৰ্য্যাতন ও অনাদর করিতেন । রাজৰাচী পরিভ্যাগ-বিs এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সংসারে কোথাও এতটুকু সহানুভুতি নাই, সমব্যথা নাই, দুঃখে সান্তনা সুখে উল্লাস নাই সে সংসারে রাজৈশ্বৰ্য্য থাকিলেও মানুষ বাস করিতে পারে না । রাজসংসারে রাজৈশ্বৰ্য্য থাকিলেও মণীন্দ্রচন্দ্রের পক্ষে এই সময় দারিদ্র্যই সমধিক বরণীয় বলিয়৷ মনে হইতে লাগিল । তিনি অবিলম্বে রাজবাটী পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় কলিকাতায় চলিয়া আসিলেন এবং শু্যামবাজারে থাকিয়া ক্রমশঃ বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন । এই