পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র বাঙ্গালার স্বর্ণচূড়া খসিয়া পড়িল । বাঙ্গালীর গৰ্ব্ব, বাঙ্গালীর মান, বাঙ্গালীর আপনার হইতে আপনার বলিয়া অহঙ্কার করিবার যাহা কিছু কালের অমোঘ দণ্ডাঘাতে তাহ ধূল্যবলুষ্ঠত হইল। সৌজন্য ও বিনয়ের অবতার, নিরভিমান, নিরহস্কার, সাহিত্য ও সমাজের আকৃত্রিম সুহৃদ, দরিদ্র আতুরের বন্ধু, বিদ্যার্থীর সহায়, স্বজন প্রতিপালক, স্বদেশ ও স্বজাতিবৎসল, স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ, দানবীর মহারাজা স্তর মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী বাহাদুর সপ্ততিতম বর্ষ বয়সে বাঙ্গালা ও বাঙ্গালীজাতিকে বিরোগ ব্যথায় অভিভূক্ত করিয়া গত সোমবারে তাহার সারকুলার রোডস্থ ভবনে দেহত্যাগ করিয়াছেন। বাঙ্গালা ও বাঙ্গলীজাতি আজ যে অমূল্য সম্পদে বঞ্চিত কইল, তাহ কোন অজানা ভবিষ্যতে পুর্ণ হইবে ? • * * মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র প্রথম বয়সে সাধারণ গৃহস্থের জীবন অতিবাহিত্ত করিয়াছিলেন। তখনও যে মাসহরা পাইতেন, তাহা হইতেও তাছাৱ দ্বারা অভাবগ্রস্তের অভাব মোচন হইয়াছে । রাজতক্তে সমাসীন হইৰার পর প্রথম জীবনের সেই মহৎ প্রবৃত্তি বিন্দুমাত্র লুপ্ত হয় নাই, বরং তখন তাছা শত গুণ তেজে প্রজলিত হইয়াছিল । সৰ্ব্ববিধ সৎকার্য্যে দান র্তাহীর জীবনের বৈশিষ্ট্য । তাহার জীবনে আর এক প্রধাম বৈশিষ্ট্য এই যে, প্রথম বয়সে তিনি যেমন সহজ আড়ম্বরহীন জীবন ষাপন করিয়াছিলেন, রাজতক্তে আসীন হইয়া যখন তিনি মুক্তহস্তে দান করিয়াছিলেন, তখনও সেইরূপ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন, তাহার সৌম্য প্রসন্ন মূৰ্ত্তির বিকৃতি কেই কখন দেখিয়াছে ৰলিয়ামনে হয় না। o 棗 关 ●