পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশিমবাজার জমিদারী \9צ হইতে মুঙ্গেরে স্থানান্তরিত করিলেন এবং কোম্পানীর সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হইবার সম্ভাবনা দেখিয়া সুশিক্ষিত এবং উন্নত প্রণালীতে সৈন্ত শিক্ষিত করিতে আরম্ভ করিলেন । ঠিক এই সময়ই শুল্ক বিভ্ৰাট ঘটে। মীরকাশিম সমস্ত ব্যাপার আছন্ত চিন্তা করিয়া স্বয়ং প্রথমে কোন কঠোরতা অবলম্বন করিলেন না । তিনি কোম্পানীর হেড আফিসে এক আবেদন করিয়া আমলা গণের মধ্য হইতে এই হীনতা জনক নীতি উঠাইয়া দিবার জন্য কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিলেন। কোম্পানীর স্থানীয় ডিরেক্টরগণের এক সভার অধিবেশনে এই বিষয়ের আলোচনা কালে একমাত্র ওয়ারেন হেষ্টিংস ব্যতীত আর সকলেই মীরকাশিমের অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া আমলা গণের স্বার্থ রক্ষার পক্ষে মত দেন। ফলে মীরকাশেমের আবেদন ব্যর্থ হইয়া যায় এবং তাহার কোন প্রতীকারই হয় না । নবাব যখন এ কথা জানিতে পারিলেন তখন তিনি ক্রোধে জ্বলিয়া উঠিলেন এবং অবিলম্বে বাংলাদেশে শুল্ক প্রথা রহিত করিয়া দিলেন। কোম্পানীর আমলাগণ ঘটনার এরূপ পরিণতি আশা করিতে পারেন নাই। সহসা এই ঘটনা র্তাহদিগকে বজাঘাতের ন্যায় বিমূঢ় করিয়া ফেলিল। তাহারা সমবেত হইয়া কত্ত্বপক্ষের নিকট প্রতিকার প্রার্থনা করিল। কোম্পানীর কলিকাতার ডিরেক্টরের মীরকাশিমের নিকট কৈফিয়ৎ চাহিলেন । তারপর গোলাগুলি এবং অসি বর্ষার মুখে ইহার উত্তর