পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র প্রত্যুত্তর হইতে লাগিল। নবাব ক্রুদ্ধ হইয়া নির্বিবরোধ ইংরেজবধের হুকুম দিলেন । নবাবী ফৌজ কুচ করিয়া ইংরেজ তাড়াইয়া বেড়াইতে লাগিল । - একদিন অপরাহ্লে এক দরিদ্র দোকানদার দোকানের পশরা লইয়া বাজারে যাইতেছিল। দুর্গানাম স্মরণ করিয়া দোকানদার বাড়ীর বাহির হইয়া কেবল মাত্র রাস্তায় আসিয়া কিছুদূর যাইতে না যাইতেই দেখিতে পাইল এক বিন্যস্ত বসন সাহেব সম্মুখের দিকে স্থির লক্ষ্য রাখিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়াইয়া আসিতেছে এব্ৰং মধ্যে মধ্যে এক একবার পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখিতেছে। দোকানদার বুঝিল সাহেব কোম্পানীর লোক নবাবী ফৌজের তাড়া খাইয়া প্রাণভয়ে পলায়ন করিতেছে — তাহার মনে হইল হয়ত আশ্রয় দিয়া লুকাইয়া রাখিতে পারিলে ইহার প্রাণরক্ষা করা যায়। দোকানদার অগ্রসর হইয়া সাহেবের প্রতিক্ষায় দাড়াইয়া থাকিল । এই সাহেব ওয়ারেন হেষ্টিংস এবং এই দোকানদার কাশিম বাজার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভাগ্যবান কাস্তবাবু। : ওয়ারেন হেষ্টিংস হাপাইতে হাপাইতে কান্তবাবুর সম্মুখে আসিয়া একটু আশ্রয়ের নিমিত্ত কাতর কণ্ঠে আধা ইংরেজী আধা বাংলা এবং হিন্দি মিশ্রিত অপূৰ্ব্ব ভাষায় তাহার নিকট দয়া ভিক্ষা করিতে লাগিলেন। অবশ্য এত কাতরতা প্রকাশের. কোন প্রয়োজন ছিলনা কারন পরছঃখ কাতর কাস্তবাবুর প্রাণ পূৰ্ব্ব হইতেই ওয়ারেন হেষ্টিংসের প্রতি করুণাদ্র হইয়াছিল।