পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজার উচ্চ মনোবৃত্তি \OS বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদ, জাতীয় শিক্ষাপরিষদ, হিন্দু-বিশ্ববিদ্যালয়, বাণিজ্য বিদ্যালয়, খনিজ বিদ্যালয়, আয়ুৰ্ব্বেদ বিদ্যালয়, কৰ্মশালা, শিল্প বিদ্যালয় ও ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয় প্রভৃতি ন তন নুতন নামীয় বিবিধ বিদ্যালয় মহারাজা বাহাদুরের নামের সহিত সংশ্লিষ্ট । এতদ্ব্যতীত তাহার পূর্বপুরুষ-স্থাপিত বহরমপুর কলেজ ও জমিদারীর অন্তর্গত অনেকানেক বিদ্যালয় তিনি পরিপোষণ করিতেন। এক শিক্ষাকার্য্যেই তিনি কোটীর অধিক টাকা দান করিয়া গিয়াছেন । এতদ্ব্যতীত ধৰ্ম্ম-কার্য্যে দান, তুস্থ লোকদিগের সাহায্য র্তাহার অসীম ছিল । ধৰ্ম্ম সাধনা ও বাস্তবজীবনের আদশ । “কিন্তু কেবল মাত্র দানের দ্বারাই তাহার চরিত্রের মহত্ব বুঝিতে হইবে এমন নহে—যে ধৰ্ম্ম ও সাধনার বলে লোকে দানাদি মহৎ কার্য্যে অনুপ্রাণিত হয়, তাহা তাহার জীবনে কতখানি অধিগত হইয়া বাস্তব জীবনের প্রতি পদবিক্ষেপে প্রতিফলিত হইত তাহাই বিশেষরূপে লক্ষণীয়। ভারতীয় সাধনার নামে যে অনুষ্ঠানে তিনি কতকদিন প্রধান ব্রতী হইয়াছিলেন, উহার প্রকৃতির অনুসন্ধানে যে সকল মহৎ লক্ষণের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, তাহার প্রধান প্রধান অনেকগুলি গুণের অপূৰ্ব্ব সমাবেশ এই রাজর্ষি চরিত্রে দেখা গিয়াছে। দৃষ্টাস্ত স্বরূপ তুই একটা বিষয়ের উল্লেখ করিব । মহারাজের পরার্থেআত্মদান বিষয়ে অধিক কিছু উল্লেখ করিবার প্রয়োজন নাই । নিষ্কাম কৰ্ম্মের দৃষ্টান্ত তিনি পদে পদে দেখাইয়া গিয়াছেন—