পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজার উচ্চ মনোবৃত্তি o, 8 S হয় ; সেই সময়ে ভারতীয় সাধনা মূলক শিক্ষাপরিষদের উপসমিতির অধিবেশন সকল মহারাজের বাড়ীতে হইতেছিল ; আমরা সেজন্য উপস্থিত ছিলাম। সভার কথা উঠিতে তিনি বলিলেন—“আমাদের ধৰ্ম্ম এমন যে, বানর, কুকুর, বিড়াল, পশু, পক্ষী সকল লইয়া আমরা একত্র বাস করিব ; তীর্থ ক্ষেত্রগুলি সে অাদর্শ দেখাইবার স্থান । সেখানে জীবহিংসা করিতে নাই’। “মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের জীবনচরিত্র পর্য্যাপ্ত আলোচনা করিবার স্থান এ নহে । জীবনের শেষ কয়টি দিনে তিনি ভারতীয় সাধনার নামে যে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন, এবং তাহাতে র্তাহাকে জানিবার আমাদের যে সৌভাগ্য ও সুযোগ ঘটিয়াছিল, সেই সম্বন্ধেই কিছু এখানে বিবৃত করিব । ব্যক্তিগত কিছু প্রকাশ করা উদ্দেশ্য নহে। ভারতীয় সাধনার পবিত্র নামে যে প্রচেষ্টা তাহাতে ব্যক্তিত্ত্বের কোনও স্থান নাই । মহারাজকে যে আমরা ঐ সাধনার একটী জীবন্ত প্রতীকরূপে পাইয়াছিলাম, তাহা বলাই এখানে উদ্দেশ্য । সাধনা ও জীবন সংস্কারে মহারাজা “ভারতীয় সাধনার আন্তরিক প্রকৃতি অবলম্বনে দেশ ও সমাজের প্রতি ক্রিয়াত্মক ভাবে কিছু কৰ্ত্তব্য বা সেবা আছে কি না, প্রবাসের কোনও নিভূত ভূমি হইতে যখন এভাব লইয়া আসিয়াছিলাম, অল্পসংখ্যক হইলেও, তখন হইতে