পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজার উচ্চ মনোবৃত্তি 86. সমিতির কার্য্য পরিচালিত হইবে । তদবধি সমিতির কার্য্যক্রম আজ আট মাস যাবত কি ভাবে চলিয়া আসিয়াছে, ভারতের সাধনার পাঠকগণ তাহ অবগত আছেন। সমিতি যে ভাবে মহারাজ বাহাদুরকে আপন সভাপতি পদে বরণ করিয়া লইয়াছিলেন, তাহা গত প্রারম্ভিক সাধারণ সভার অধিবেশনে শ্ৰীযুক্ত কুমারকৃষ্ণ দত্ত মহাশয়ের কথায় ব্যক্ত হইয়াছিল ; তিনি বলেন,—‘মহারাজা বাহাদুর কেবল যে ধনবল ও উচ্চপদবী গুণেই এই সভার অধিনায়কত্ব করিবার উপযুক্ত তাহা নহে, পরন্তু দেশের সকল প্রকার মঙ্গলানুষ্ঠানের অগ্রণী, মহাপ্রাণ এবং বর্তমান সময়ে এদেশে ব্রহ্মচৰ্য্যমূলক জাতীয় শিক্ষার সৰ্ব্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক বলিয়াই তিনি এই পদ অধিকার করিবার সম্পূর্ণ যোগ্য ।” “তদবধি মহারাজ বাহাদুর পরিষদের কার্য্যনিৰ্ব্বাহক সমিতি ও উপসমিতির সভাপতির কার্য্যও করিয়া আসিয়াছেন । কখন কখন কেবলমাত্র এই সকল সভার কার্য্য নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত কাশীমবাজার হইতে কলিকাতা পর্য্যন্ত আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। সমিতির প্রাপ্ত অভিমত সমূহ অত্যন্ত আগ্রহের সহিত নিজ সঙ্গে কাশীমবাজার পর্য্যন্ত লইয়া গিয়া, তাহ। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পাঠ ও পৰ্য্যালোচনা করিয়াছেন। উপসমিতির অধিবেশন কালে ক্রমান্বয়ে বহু দিন পৰ্য্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকিয়া সভার কার্য্য পরিচালনা করিয়াছেন। অতি গুরুতর বিষয়ে সমিতির কয়েকটা সিদ্ধান্ত বিশেষ করিয়া