পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

£२ মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র আয়ুৰ্ব্বেদ শিক্ষা দানের কোন ব্যবস্থাই নাই। খ্যাতনামা দেশীয় কবিরাজগণ ব্যক্তিগতভাবে নিজ নিজ গৃহে রাখিয়া আয়ুৰ্ব্বেদ শিক্ষণেচ্ছু যুবকগণকে আয়ুৰ্ব্বেদ শাস্ত্র শিক্ষা দিতেন বটে কিন্তু তাহা সকলের পক্ষে পর্য্যাপ্তও হইত না এবং সকলের সকল উদ্দেশ্যও তাহাতে সাধিত হইত না । এই অভাব দূর করিবার জন্য স্বৰ্গীয় মহারাজা এবং স্বৰ্গীয় যামিনীভূষণ রায় প্রভৃতি যে অক্লান্ত পরিশ্রম ও অজস্র অর্থব্যয় করিয়াছিলেন তাহারই সুফল আজ সমগ্র বঙ্গবাসী ভোগ করিতেছেন, আজ র্তাহাদেরই মহান প্রচেষ্টার ফলে কলিকাতায় মহারাজের পরম পূজনীয়া মাতৃদেবীর পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত গোবিন্দসুন্দরী অবৈতনিক আয়ুৰ্ব্বেদ কলেজ ও অন্যান্ত আয়ুৰ্ব্বেদ শিক্ষাগার স্থাপিত হইয়া দেশীয় লোকের আয়ুৰ্ব্বেদ শিক্ষার পথ সুগম করিয়া দিয়াছে —এই সকল বিদ্যালয়েই গ্রন্থ অধ্যয়ন ব্যতীত প্রত্যক্ষ হস্তকাৰ্য্যাদিও ( Practical ) শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। “মহারাজা কাশিমবাজার গোবিন্দসুন্দরী অবৈতনিক আয়ুৰ্ব্বেদ কলেজ” মহারাজার পৈতৃক ভবন ২০ নং রামকান্ত বসুর স্ত্রীটে প্রতিষ্ঠিত। এই কলেজে বিপন্ন রোগিগণের থাকিবার স্থান (in-door) ও মুবন্দোবস্ত আছে। এতদ্ব্যতীত সমাগত সকল রোগীকেই যত্ন সহকারে পরীক্ষা করিয়া চিকিৎসা করা ও ঔষধ দেওয়া হইয়া থাকে। কলিকাতায় সুপ্রসিদ্ধ কবিরাজ শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র মল্লিক কাব্য ব্যাকরণতীর্থ মহাশয়ের উপর এই কলেজের অধ্যক্ষতা-ভার অর্পণ করা আছে।