পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র যাহা কিছু গৌরবের, যাহা কিছু আদর্শের, যাহা কিছু প্রতিষ্ঠার ছিল সবই চলিয়া গেল—“উজ্জ্বলিত নাট্যশালার দীপাবলী যেন প্রমত্ত ঝড়ের এক নিশ্বাসে নিবিয়া গেল, ঐক্যতান থামিয়া গিয়া, আনন্দ কোলাহল বিষাদের অতলজলে সমাধি লাভ করিল। বাঙ্গলাদেশের এ তুর্ভাগ্য নুতন নহে, অপ্রত্যাশিত নহে, অচিন্ত্যনীয় নহে। যুগপ্রভাবের মধ্য দিয়া শ্ৰীভগবানের করুণাধারা রূপে র্তাহার যে শ্রেষ্ঠদান মৰ্ত্ত্যলোকের উপর বর্ষিত হয়, সাত্বিকতা ও সাধনার উৎকর্ষ হইতে বঞ্চিত হইলে যথার্থভাবে এই দান গ্রহণ করিবার অথবা গ্রহণ করিতে পারিলেও রক্ষা করিবার সামর্থ্য কোন দেশের থাকে না । যুগ তখন সৰ্ব্বমানবের প্রাণের বস্তু, ভগবানের শ্রেষ্ঠ উপহার শিরে বহন করিয়া আর এক দেশের দূয়ারে যাইয়া দাড়ায় । সে দেশে তখন আবার বঁাশরা বাজে, আবার সঙ্গীতের সুধাতান উঠে, আবার হাসি ফুটে —অফুরন্ত উৎসব ও প্রচুর আনন্দ সে দেশের প্রকৃতির প্রাণে সত্যকারের চেতনা জাগাইয়া তুলে । আঘাতের পর আঘাতে শক্তির হানি হয় । সহ্যশীলতা । জীবনের মূলভিত্তি দৃঢ় করিয়া রাখিলেও মাথা তুলিয়া দাড়াইবার ক্ষমতা দেশের আর থাকেনা। এই সেদিন দেশবন্ধুর তিরোধান, আশুতোষের মহাপ্রয়াণ, সুরেন্দ্র নাথের বিয়োগ—অভাগা বাংলা দেশের বুকে আর কত সহিবে ? চারিদিকে তামস তাহারই মধ্যে মৃত্যুর তাণ্ডবলীলা,—দেশের বুকের উপর উন্মত্তহাস্তে মৃত্যু-দূতেরা অহৰ্নিশি তাথৈ তাথৈ নৃত্যের তালে তালে মরণ l