পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պա মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র মাতৃবন্দনায় উচ্ছসিতকণ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ গাহিলেন, “অয়ি ভুবন মনোমোহিনি’— অয়ি নিৰ্ম্মল সূৰ্য্য করোজ্জল ধরণী জনক-জননী-জননী!” গানে, ধ্যানে, সাধনায় বাঙ্গালীজাতি এক শক্তির উন্মাদনায় ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল । ধন্ত কুর্জন বাহাদুর । অশুভের মধ্য দিয়া বাঙ্গালা দেশে তুমি পরম কল্যাণ আনয়ন করিয়াছিলে । তোমারই নিৰ্ম্মম কশাঘাতে বাঙ্গলার যুগযুগাস্তের নিদ্ৰালু জাতি দেশাত্মবোধের প্রেরণায় জাগ্রত হইয়াছিল! আজ ভারতের সর্বত্র দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তীব্র আন্দোলন চলিতেছে । বহু তরুণ প্রাণ, বহু অকৃত্রিম দেশভক্তের পবিত্র প্রাণ এই বিরাট সাধনযজ্ঞের বলিরূপে উৎসর্গীকৃত হইয়াছে । সরকার এই আন্দোলন নিবৃত্তি করিবার জন্য zota Waifs (Repression Policy) on করিয়াছেন । কিন্তু জাতি আজ হাসি মুখে শাস্তি ও মৃত্যু বরণ করিয়াও তীব্র সাধনা করিতেছে । কিন্তু যে কথা বলিতেছিলাম তখন বাংলাদেশে এমন করিয়া দেশাত্মবোধ জাগিয়া উঠে নাই। বাংলার লোক তখন ঘুমের ঘোরে স্বপন দেখিতেছে। এমন সময় লর্ড কৃর্জনের ভেদনীতি প্রবর্তিত হইল। মনে হয় নিজের পাণ্ডিত্যাভিমানে লড" কুর্জন জাতির মনস্তত্ত্ব ভুলিয়া গিয়াছিলেন। তাই তাহার বঙ্গভঙ্গরূপ কার্য্যের ফলে সারা বাংলায় গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে