পাতা:মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র - জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՎo মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র একাধারে প্রেম, ভক্তি, ভালবাসা, স্বজন ও স্বজাতিতে অনুরাগ, দেশপ্রীতি, সেবার আগ্রহ, পরতুঃখ মোচনের ব্যগ্র চেষ্টা, তেজস্বিতা এতগুলি গুণের সমাবেশ জগতে অতি বিরল । এক কথায় বলিতে গেলে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের মধ্যে ষড়ৈশ্বৰ্য্য বিদ্যমান ছিল । রাজা ভূস্বামী—মহারাজ “সৰ্ব্বস্বামীগুণোপেত ছিলেন । যখন যে দিকে চাই কেবলই র্তাহার অসীম গুণরাজির কথাই মনে পড়ে। এই মহাপুরুষের তিরোধানে সমগ্র দেশের যে কি ক্ষতি হইয়াছে তাহা বলিয়া শেষ করিবার কোন উপায় নাই । ভাষা, এইখানেই ব্যর্থ ও শক্তিহীন । এই বিষাদের ঘনান্ধকারে বসিয়া মরণবিজয়ী । মহাপুরুষের জন্য যখন প্রাণ আকুল হইয়া কাদিয়া উঠে, তখন শুধু মনে হয় বাঙ্গালীর সর্বস্ব গিয়াছে - বাঙ্গালীর বুকের বাধন ছিড়িয়। গিয়াছে—মৃত্যুরাক্ষস বাঙ্গালীর হৃৎপিণ্ড উপড়াইয়া লইয়া গিয়াছে । তুর্ভাগা বাঙ্গালী জাতি । আর আমাদের কিছুই নাই, সকল গৰ্ব্ব, সকল অহঙ্কার নিয়তির ভ্ৰকুটিতে ডুবিয়া গিয়াছে এখন শুধু— 弱 “ফুলের বার নাইক আর ফসল যার ফলল না।” আর কি বাংলার মুদিন ফিরিয়া আসিবে, আবার কি বাংলারঘরে ঘরে সাজের প্রদীপ জ্বলিবে । আজ যে বাঙ্গালীর দিন নিকটবৰ্ত্তী— “দিনের অালো যার ফুরালো সাজের আলো জ্বলল না সেই বসেছে ঘাটের কিনারায়”—