পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১১

দেশে কাঞ্চিপুরের গুণ সিন্ধু মহারাজার তনয় সুন্দর না যে অতিশয় রূপবান এবং সর্ব্ব শাস্ত্রে মহা মহোপাধ্যায় এই সকল সংবাদ পাইয়া পিতা মাতাকে না কহিয়া বর্দ্ধমানে হিরা নামে এক মালিনীর বাটীতে বাসা করিয়া রহিলেন সেই সুন্দর সুড়ঙ্গ কাটিয়া বিদ্যার নিকট যাইয়া শাস্ত্র বিচারে জয়ী হইয়া বিদ্যাকে গন্ধর্ব্ব বিবাহ করিলেন। ইহার বিস্তার চোর পঞ্চাশতে আছে। রাজা মানসিংহ আজ্ঞা করিলেন সে গ্রন্থ আনিয়া আমাকে শুনাও। রায় মজুমদার চোর পঞ্চাশত শ্লোক আনাইয়া যাবদীয় বৃত্তান্ত শ্রবণ করাইলেন॥

 পশ্চাৎ রাজা মানসিংহ বর্দ্ধমানহইতে গমন করিয়া বিবেচনা করিলেন যে ভবানন্দ রায় মজুমদারের বাটী দেখিয়া যাইব। রাই মজুমদারকে কহিলেন আমি তোমার বাটী হইয়া যাইব। রায় মজুমদার যে আজ্ঞা বলিয়া পরম হৃষ্ট হইলেন। রাজা মানসিংহ বাগুয়ান পরগণায় উপস্থিত হইয়া ভবানন্দ রায়ের বাটীতে উপনিত হইলেন। রায় মজুমদার নানা জাতীয় ভেটের সামগ্রী রাজার গোচরে আনিলেন। রায় মজুমদারের আহ্লাদ এবং সমগ্রীর আয়োজন দেখিয়া রাজা মানসিংহ অত্যন্ত তুষ্ট হইলেন। ইতিমধ্যে ঝড় বৃষ্টি অতিশয় উপস্থিত রাজা মানসিংহের সঙ্গে নব লক্ষ সৈন্য খাদ্য সামগ্রীর কারণ মহাব্যস্ত রায় মজুমদার যাবদীয় সৈন্যের আহার পরগণা হইতে এবং নিজালয় হইতে দিলেন। এই প্রকার সপ্তাহ হস্তি ঘোটক পদাতিক প্রভৃতি সকলেই কোন