পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫

সমস্ত বৃত্তান্ত জ্ঞাত করিলেক। মজুমদারের বনিতা আনন্দার্ণবে মগ্না হইয়া ঈশ্বরী পাটনীকে দিব্য বস্ত্র আস্তরণে সন্তুষ্ট করিয়া পশ্চাৎ পুর বাসিনীরা সকলে আসিয়া জয় ২ ধ্বনি করতে প্রবর্ত্ত আহ্লাদের সীমা নাই। রজনী যোগে ভবানন্দ মজুমদারের স্ত্রী স্বপ্নে দেখেন অপূর্ব্বা এক কন্যা কহিতেছেন আমি তোমার বাটীতে আসিয়াছি এবং আমার একটি ঝাঁপী তোমার ঘরে রাখিয়াছি তুমি সর্ব্বদা আমার পূজা করিবা এবং ঝাঁপীটি খুলিবা না। রায় মজুমদারের স্ত্রী প্রাতে গাত্রোত্থান করিয়া দেখেন ঘরের মধ্য স্থলে ঝাঁপী স্নান করিয়া ঝাঁপী মস্তকে লইয়া অপূর্ব্ব এক স্থানে রাখিয়া নানাবিধ আয়োজন করিয়া লক্ষ্মীর পূজা করিলেন। অদ্যাপি সেই ঝাঁপী আছে॥

 ভবানন্দরায় মজুমদার রাজা মানসিংহের সহিত ঢাকায় উপস্থিত হইলেন। পরে এক দিবস রাজা মানসিংহের সাহিত জহানগীরসা বাদসাহেৱ নিকট গমন করিলেন। বাদসাহের নিকট সংবাদ বিস্তারিত রাজা মানসিংহ নিবেদন করিলেন গমন এবং আগমন পর্য্যন্ত কিন্তু ভবানন্দ মজুমদারের বিস্তর ২ প্রশংসা বাদশাহের নিকট করণে বাদসা আজ্ঞা করিলেন তাহাকে আমার নিকটে আন। রাজা মানসিংহ অত্যন্ত হৃষ্ট হইয়া আহ্বান করিলেন। রায় মজুমদার বিস্তর ২ নমস্কার করিয়া করপুটে সম্মুখে দাঁড়াইলেন। বাদসা ভবানন্দ মজুমদারকে দেখিয়া তুষ্ট হইয়া কহিলেন উপযুক্ত মনুষ্য বটে পশ্চাৎ মানসিংহকে