পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০

রাজ পরম ধার্ম্মিক এবং সুবার নিকট যথেষ্ট মর্য্যাদান্বিত যে রাজকর পূর্ব্বে নিয়মিত চিল তাহা অপেক্ষা কিছু অল্প করিয়া যথেষ্ট সৈন্য রাহিয়া রাজ্যের বাহুল্য কারিলেন। রাম কৃষ্ণ মহারাজ বাইশ লক্ষের জমিদারি করিয়া পরম সুখে কাল জাপন করেন। তাহার অবর্ত্তমানে রামজীবন রায় রাজা হইলেন॥

 রাম জীবন রায় মহা রাজ রাজ্য প্রাপ্ত হইয়া রাজা রাম হৃষ্ট কৃষ্ণনগর নামে যে এক নগর করিয়াছিলেন। সেই স্থানে রাজধানি করিলেন। রাম জীবন রায় মহারাজ অতেন্ত প্রতাপান্বিত রাজ্য অতিশয় শাসিত করিয়া এই রূপে কালক্ষেপণ করেন। সময় ক্রমে মহা রাজার দুই পুত্র হইল। জ্যেষ্ট রঘু রাম কণিষ্ট রাম গোপাল। কিছু কালানন্তরে রঘু রাম রায় রাজা হইলেন। রঘু রাম রায় মহারাজ অতি বড় দাতা পুণ্যবান পরম সুথে কাল জাপন করেন। রাজা রাণীর অধিক বয়ঃক্রম হইল পূত্র না হওয়াতে সর্ব্বদা ক্ষেদিত থাকেন। এক দিবস ঈশ্বরের আরাধনা ব্যাতিরেকে উত্তম রত্ন লাভ হয় না। অতএব আমরা দুই জনে কঠোর তপস্যা করি তবে ঈশ্বর অবশ্য পুত্র দিবেন। রাজা রাণী ইহাই স্থির করিয়া আরাধনার নিয়ম করিলেন। অতি প্রাতে গাত্রোতথান করিয়া স্নানান্তর ঈশ্বরের মহতী পূজা করিয়া সূর্য্যদৃষ্টি করিয়া রাজা রাণী প্রত্যহ ঈশ্বরের তপস্যা করেন। এই রূপে এক বতসৱ গত হইল রাজা রাণীর তপস্যাতে সকল লোকের চমতৃকার বোধ হইয়া বিস্তর ২