পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৯

বশ্যক তাহার যায় করিয়া দিই। রাজা কহিলেন ভাল তাহাই দিউন। পরে পণ্ডিতেরা রাজ সভাহইতে গাত্রোত্থান করিয়া পাত্রের নিকট যাইয়া যজ্ঞের সামিগ্রীর যায় করিয়া দিলেন এবং কহিলেন যে দ্রব্য যজ্ঞেতে লাগিবেক তাহাই আমরা লিখিয়া দিলাম পরে পাত্র সামুদায়িক বরার্দ্ধ করিয়া দেখিলেন বিংশতি লক্ষ তঙ্কা হইলে যজ্ঞ সাঙ্গ হইবেক। মহারাজার নিকটে পাত্র গমন করিয়া সমস্ত নিবেদন করিলেন। রাজা হাস্য করিয়া কহিলেন আয়োজন করহ পরে পাত্র যজ্ঞের দ্রব্য সকল আয়োজন করিতে প্রবর্ত্ত হইলেন॥

 পরে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ রাঢ় গৌড় কাশী দ্রাবিড় উৎকল কাশ্মীর প্রভৃতি দেশস্থ যাবদীয় পণ্ডিতেরদিগের প্রতি নিমন্ত্রনের লিপি পাঠাইলেন। যজ্ঞের কাল উপিস্থত হইলেই সকল দেশীয় ধীরবর্গেরা আসিলেন। রাজা অতিশয় ঘটা পূর্ব্বক যজ্ঞ সম্পূর্ণ করিলেন এবং সকল লোককে যথেষ্ট ধন দিয়া পরিতোষ জন্মাইলেন। রাজার সুখ্যাতির সীমা নাই যাবদীয় পাণ্ডিতেরা রাজার নাম রাখিলেন অগ্নিহোত্রী রাজপেয়ী শ্রীমন্মহারাজ রাজেন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই নাম মহারাজ প্রাপ্ত হইয়া আনন্দার্ণবে মগ্ন হইলেন। পশ্চাৎ যাবদ্দেশীয় পণ্ডিতেরদিগকে বহুবিধ ধন দিয়া বিদায় করিয়া মনের হর্ষে রাজ্য করেন। রাজ্য শাসিত হইলে সর্ব্বত্র সুখ্যাতি পাইলেন। প্রজা সকলের যথেষ্ট আহ্লাদ কোন রূপে ব্যামোহ নাই। এইরূপে কাল ক্ষেপণ