পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫৯

কদাচ দিলেন না। পরে শ্রীকৃষ্ণ বহু সৈন্য লইয়া যুদ্ধ করিতে উদ্যত হইলেন। দণ্ডী রাজা শ্রবণ করিলেক যে শ্রীকৃষ্ণ আমার সঙ্গে যুদ্ধ করিতে আসিতেছেন ইহা শুনিয়া পলাইয়া অনেক ২ স্থানে গমন করিলেন। পরে পাণ্ডব পুত্র যুধিষ্টির ভীম অর্জুন নকুল সহদেব ইহারদিগের মধ্যে ভীমের শরণাপন্ন হইলেন। ভীম আশ্বাস করিলেন হে দণ্ডী রাজা অশ্বিনীর সহিত আমার নিকটে থাক তোমার কোন চিন্তা নাই। দণ্ডী রাজা যথেষ্ট আশ্বাস পাইয়া ভীমের নিকটে রাহিলেন। পরে শ্রীকৃষ্ণ শুনিলেন যে দণ্ডী রাজা অশ্বিনী সহিত ভীমের শরণাপন্ন হইয়াছে পশ্চাৎ শ্রীকৃষ্ণ দূত পাঠাইলেন যে দণ্ডী রাজা অশ্বিনীর সহিত সেখানে আছে অতএব তাহাকে এবং অশ্বিনীকে শীঘ্র আমার নিকট পাঠাইবেন। এই সংবাদ পাইয়া ভীম বড় ভাবিত হইলেন ভীমেরদিগের বল বুধি বিক্রম যে কিছু সকলি শ্রীকৃষ্ণ অন্তঃকরণে বিবেচনা করিলেন যে শরণাগত জনকে রক্ষা যদি না করি তবে বৃথা প্রাণ ধারণ করা যদি না দিই তবে কৃষ্ণের সহিত যুদ্ধ করিতে হইবেক কৃষ্ণের যুদ্ধেতে প্রাণ রক্ষা হইবে না তবে কি করি। অনেক মত চিন্তা করিয়া স্থির করিলেন বরং যুদ্ধেতে প্রাণ যায় সেও উত্তম তথাপি শরণাগত জনকে দেয়া মত নহে। ইহাই স্থির করিয়া কৃষ্ণের দূতকে বিদায় করিলেন দণ্ডী রাজা ও অশ্বিনীকে দিলেন না। শ্রীকৃষ্ণ এই সম্বাদ পাইয়া মহা ক্রোধে সৈন্য লইয়া যুদ্ধ করিতে আগমন করিলেন। পশ্চাৎ ভীম আত্ম