পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬৪

 কিঞ্চিৎ গৌণে নবাব স্রাজেরদৌলা সব সৈন্য লইয়া কলিকাতায় উপস্থিত হইলেন। বাগবাজারের পুলের নিকট উপনীত হইলেই যুদ্ধ আরম্ভ হইল। নবাবের বহু সৈন্য ছিল তথাপি পুলের সৈন্যগণকে জয়ী হইতে পারিতেছে না এবং নবাবের অনেক সৈন্য নষ্ট হইল। কলিকাতা নিবাসী লোক সকল তরণীতেই প্রায় আছে। রাজা রাজবল্লত ও কৃষ্ণ দাস নৌকা যোগে বঙ্গ দেশেতে গমন করিয়া অতি গোপনে রহিলেন। পরে বাগবাজারে অনেক রণ করিয়া কোঠির বড় সাহেবের সৈন্য কাতর হইল। পরে নবাবের সৈন্য নগরে প্রবেশ করিয়া নগর নিবাসিরদিগের ধন এবং দ্রব্য যে যাহা পায় সে তাহাই লইতে লাগিল। পশ্চাৎ-নবাবের প্রধান২ সৈন্য সকল পুরাণ কোঠির নিকট উপনীত হইলেই কোঠির সাহেব রণ করিতে আরম্ভ করিলেন। নবাবের সৈন্যও রণ করিতে লাগিল কিন্তু কাহারু শক্তি হয় না যে এক পদ অগ্রগামী হন। সাহেবের যুদ্ধ ও সাহস দেখিয়া সকলেই যথেষ্ট প্রশংসা করিতে লাগিলেন যে এমন যোদ্ধা কখন কেহ দেখে নাই শীলা বৃষ্টির ন্যায় গোলা গুলি পড়িতেছে। এই রূপ সপ্তাহ রণ হইল নবাবের বিস্তর সৈন্য প্রাণত্যাগ করিলেক। কোঠির সাহেবের সৈন্য অল্প কি করিবেন গড়ে তিষ্টিতে না পারিয়া জাহাজের উপর আরোহণ করিলেন। পশ্চাৎ নবাব সাহেবের সৈন্য গড়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়া রণ করিতে লাগিল। কোঠির বড় সাহেব জাহাজের উপর থাকিয়া