পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬৫

অনেক প্রকার রণ করিলেন বিস্তর সৈন্যের অল্প সৈন্যে কি করিতে পারে। অনেক যুদ্ধের পর জাহাজ ভাষাইয়া সাহেব বিলাতে গমন করিলেন। তখন ভদ্র লোক সকলেই বিমর্ষ হইয়া কহিতে লাগিলেন যে এ দেশের আর মঙ্গল হয় না কেননা বিদেশী সওদাগর লোক আর আসিবে না যে অন্যায় উপস্থিত হইল অতএব যদি কখন ইঙ্গরাজেরা এ দেশে আইসেন আর ইশ্বর যদি জবনাধিকারী নষ্ট করেন তবেই এ রাজ্যের মঙ্গল হবে নতুবা এ দেশের লোকের যথেষ্ট দুর্গতি হইবেক। এই রূপ পরস্পর কহিতে লাগিলেন এবং ক্ষুদ্র লোক সকলেই হাহাকার করিয়া রোদন করিতে লাগিল আর সকলেই মনে ২ নবাবেরে মন্দ কহিতে লাগিল। কোন ব্যক্তি কহে ভাই হে ইঙ্গরাজের তুল্য সত্যবাদী নাই এবং দয়া যথেষ্ট যে লোক অন্য স্থানে যে বেতন পাইত সেই লোক সাহেবের চাকর হইলে তার দ্বিগুণ বেতন মিলিত। এই রূপ সকলে সাহেবের গুণানুবাদ করিতে প্রবর্ত্ত।

 পরে নবার স্রাজেরদৌলা সমরে জয়ী হইয়া যাবদীয় লোককে আজ্ঞা করিলেন কোঠির সাহেবের চাকর লোকের বাটী ঘর যত আছে সকল ভাঙ্গিয়া ফেল। আজ্ঞা মতে সকল ভৃত্যেরা কলিকাতার যাবদীয় অট্টালিকা ভাঙ্গিতে প্রবর্ত্ত হইল নগর মধ্যে উত্তম স্থান রাখিলেক না। এই রূপ নগর ভগ্ন করিয়া সর্ব্বত্র সৈন্য রাখিয়া নবাব মুরসদাবাদে গমন করিলেন। পাত্র মিত্র গণ সকলে অন্যায় দেখিয়া চমৎ হৃত হইলেন শঙ্কায় কেহ