পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৬৬

কিছু কহিতে পারেন না। এই রূপ এক বৎসুর গত হইল।

 পরে ইঙ্গরাজ সাহেবলোক সৈন্যে পাঁচ জাহাজ পরিপূর্ণ করিয়া কলিকাতার নিকটে আসিয়া দূত দ্বারায় সম্বাদ জ্ঞাত হইলেন যে নবাব কিছু সৈন্য রাখিয়া আপনি রাজধানিতে গমন করিয়াছেন। পরে যে সকল সৈন্য কলিকাতায় ছিল তাহারদিগের সঙ্গে রণ করিয়া সে সব সৈন্য নিপাত করিয়া কলিকাতার কোঠির মধ্যে প্রবেশ করিয়া আত্ম পতাকা উঠাইয়া দিলেন।

 পশ্চাৎ সকল মনুষ্য পরস্পরায় শ্রবণ করিয়া অত্যন্ত হৃষ্ট হইল এবং পুর্ব্বে যে সকল লোক চাকর ছিল তাহারা শ্রবণ করিয়া আনন্দসাগরে মগ্ন হইয়া আপন২ পরিবার লইয়া নগরে প্রবেশ করিল। পশ্চাৎ সাহেবের নিকট নানা জাতীয় খাদ্য দ্রব্য ভেট দিয়া আত্ম২ সমাচার জ্ঞাত করাইলেন। সাহেব হাস্য করিয়া অনেক প্রকার আশ্বাস দিয়া পূর্ব্বে যে যে লোক যে যে কর্ম্মে নিযুক্ত ছিল সেই২ লোক সেই২ কর্ম্মেতে নিযুক্ত করিলেন। নগরবাসী লোকেরদিগের আনন্দের সীমা নাই। পরে সাহেব প্রধান চাকরকে আজ্ঞা করিলেন যে পূর্ব্বে রাজা কৃষ্ণচস্ত্ররায় আমার নিকটে আসিয়াছিলেন তাহাতে আমি তাহাকে কহিয়াছিলাম যে বিলাতের আজ্ঞা না পাইয়া নবাবের সহিত বিবাদ করিতে পারি না এখন বিলাতের কর্ত্তার আজ্ঞা লইয়া আসিয়াছি নবাবের সহিত রণ করিব তাহারা আমার সাহায্য