পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭২

ত্যাগ করিতেছে কি করিব ইহাতে কেহ উষ্মাক্রমে যুদ্ধ করিয়া প্রাণ ত্যাগ করিতেছে। যুদ্ধ ভাল হইতেছে না ইহা দেখিয়া নবাবের চাকর মোহন দাস নামে এক জন সে নবাব সাহেবকে কহিলেক আপনি কি করেন আপনকার চাকরেরা পরামর্শ করিয়া মহাশয়কে নষ্ট করিতে বসিয়াছে। নবাব কহিলেন সে কেমন। মোহন দাস কহিল সেনাপতি মীর জাফরালি খান ইঙ্গরাজের সঙ্গে প্রণয় করিয়া রণ করিতেছে না অতএব নিবেদন আামাকে কিছু সৈন্য দিয়া পলাশির বাগানে পাঠান আমি যাইয়া যুদ্ধ করি আপনি বাকি সৈন্য লইয়া সাবধানে থাকিবেন পূর্ব্বের দ্বারে যথেষ্ট লোক রাখিবেন এবং এই ক্ষণে কোন ব্যক্তিকে বিশ্বাস করিবেন না। নবাব মোহন দাসের বাক্য শ্রবণ করিয়া ভয় যুক্ত হইয়া সাবধানে থাকিয়া মোহন দাসকে পঁচিশ হাজার সৈন্য দিয়া অনেক আশ্বাস করিয়া পলাশিতে প্রেরিত করিলেন। মোহন দাস উপস্থিত হইয়া অত্যন্ত যুদ্ধ করিতে প্রবর্ত্ত হইল। মোহন দাসের যুদ্ধেতে ইঙ্গরাজের সৈন্য শঙ্কান্বিত হইল। মীর জাফরালি খান দেখিলেন এ কর্ম্ম ভাল হইল না যদ্যপি মোহন দাস ইঙ্গরাজকে পরাভব করে আর এ নবাব থাকে তবে আমারদিগের সকলেরি প্রাণ যাইবেক অতএব মোহন দাসকে নিবারণ করিতে হইয়াছে ইহাই বিবেচনা করিয়া নবাবের দূত করিয়া এক জন লোককে পাঠাইলেন সে মোহন দাসকে কহিল আপণাকে নবাব সাহেব ডাকিতেছেন শীঘ্র চলুন। মোহন