পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৩

দাস কহিল আমি রণ ত্যাগ করিয়া কি প্রকারে যাইব। নবাবের দূত কহিল আপনি রাজাজ্ঞা মানেন না। মোহন দাস বিবেচনা করিল এ সকলি চাতুরি এ সময় নবাব সাহেব আমাকে কেন ডাকিবেন ইহা অন্তঃকরণে করিয়া দূতের শিরশ্ছেদন করিয়া পুনরায় সমর করিতে লাগিল। মীর জাফরালি খান বিবেচনা করিল বুঝি প্রমাদ ঘটিল পরে আত্মীয় এক জনকে আজ্ঞা করিল তুমি ইঙ্গরাজের সৈন্য হইয়া মোহন দাসের নিকট গিয়া মোহন দাসকে নষ্ট করহ। আজ্ঞা পাইয়া এক জন মনুষ্য মোহন দাসের নিকট গমন করিয়া অগ্নি বাণ মোহন দাসকে মারিল সেই বাণে মোহন দাস পতন হইল। পরে নবাবি যাবদীয় সৈন্য রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল ইঙ্গরাজের জয় হইল।

 পরে নবাব স্রাজেরদৌলা সকল বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া মনে২ বিবেচনা করিলেন কোন মতে রক্ষা নাই আপন সৈন্য বৈরি হইল অতএব আমি এখান হইতে পলায়ন করি। ইহাই স্থির করিয়া নৌকোপরি আরোহণ করিয়া পলায়ন করিলেন। পরে ইঙ্গরাজ সাহেবের নিকটে সকল সমাচার নিবেদন করিয়া মীর জাফরালী খান মুরসদাবাদের গড়েতে গমন করিয়া ইঙ্গরাজী পতাকা উঠিয়া দিলে সকলে বুঝিল ইঙ্গরাজ মহাশয়েরদিগের জয় হইল তখন সমস্ত লোকে জয় ২ ধ্বনি করিতে প্রবর্ত্ত হইল এবং নানা বাদ্য বাজিতে লাগিল। যাবদীয় প্রধান ২ মনুষ্য ভেটের দ্রব্য দিয়া সাহেবের নিকট সাক্ষাৎ

K