পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৯

 কিঞ্চিৎ কালের পর মহারাজ শিব চন্দ্র রায় মনোমধ্যে বিবেচনা করিতেচেন পূর্ব্বে যে সকল মহারাজারা আমারদিগের বংশে ছিলেন তাহারা অশেষ প্রকার পুণ্য কর্ম করিয়া দেশান্তরে খ্যাত্যাপন্ন হইয়াছেন অতএব আমিও সেই মতাচরণ করিব ইহাই স্থির করিলেন॥

 কিঞ্চিৎ গৌণে নবদ্বীপ হইতে প্রধান ২ পণ্ডিতগণকে আহ্বান করিয়া আনিয়া কহিলেন আমার ইচ্ছা যে মহতী ঘটা করিয়া একটা যজ্ঞ করি অতএব আপনারা বিবেচনা করিয়া আজ্ঞা করুণ কি যজ্ঞ করিব। পণ্ডিতবর্গেবা কহিলেন মহারাজ সোম যাগ করুণ। মহারাজ শিব চন্দ্র রায় পণ্ডিতেরদিগের বাক্যে উত্তম ২ যজ্ঞ করিয়া এবং বহুবিধ দান করিয়া ইশ্বরে মনোর্পণ করিয়া লোকান্তরে গমন করিলেন॥

 মহারাজ শিব চন্দ্র রায়ের এক পুত্র ঈশ্বর চন্দ্র রায়। কিছু দিনান্তরে ঈশ্বর চন্দ্র রায় মহাশয় নবদ্বীপের রাজা হইলেন। পূর্ব্বের যে সকল মন্ত্রীরা ছিলেন সে সকল মন্ত্রীদিগেরও লোকান্তর হইয়াছে উপযুক্ত মনুষ্য না পাইয়া অত্যন্ত উদ্বিগ্ন চিত্ত দিন ২ রাজ্যের ক্ষীণতা এবং নানা প্রকারে অর্থ ব্যায় এই প্রকারে কতক কাল রাজ্য করিলেন। ইহার পুত্র গিরীশ চন্দ্র রায়। মহারাজ ইশ্বর চন্দ্র রায় কল্পতরুর ন্যায় দাতা এব ইশ্বরে সর্ব্বদা মন ও বহু বিধ দান করিয়া লোকান্তরে গমন করিলেন।

 পরে গিরীশ চন্দ্র রায় মহাশয়কে সাহেব লোক সকলে যথেষ্ট অনুগ্রহ করেন। এই ক্ষণে তিনিই নবদ্বীপের