পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >8 ) করিয়াছিলেন। সমগ্র বঙ্গীয় সমাজ মধ্যে একমাত্র রঘুনন্দনই রাজা হরিনাথের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রামকান্ত আত্মরক্ষার উদ্দেশ্রে অগত্যা এই রঘুনন্দন রায়ের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। এই সময় রামকাস্তের প্রযত্নে বিক্রমপুরস্থ বৈদ্য-সমাজের মেল-বন্ধন হইল এবং রঘুনন্দন বিক্রমপুর-বৈদ্য-সমাজের অধিনায়কত্ব পদে বরিত হইলেন। তিনি সিদ্ধবংশোদ্ভব বৈদ্য ছিলেন না ; সুতরাং সমগ্র বঙ্গীয় বৈদ্যসমাজ তাহার অধীনতা স্বীকার করিল না এবং রঘুনন্দনের সমাজপতিত্ব একমাত্র বিক্রমপুরেই সীমাবদ্ধ রহিল। রঘুনন্দনের পর তাহার উত্তর-পুরুষ রঘুরাম রায় পৰ্য্যন্তও বিক্রমপুর বৈদ্য সমাজে কর্তৃত্ব করিয়া গিয়াছেন। রঘুরাম রায়ের সমেয়ই মহারাজ রাজবল্লভ উচ্চ রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। তিনি তৃতীয় পুত্র গঙ্গাদাসের বিবাহের সময় সমগ্র বঙ্গীয় বৈদ্য-সমাজ নিমন্ত্রণ করিয়া চন্দনের অনুষ্ঠান করেন এবং তদবধি তিনি ঐ সমাজস্থ বৈদ্যগণের নেতা বলিয়া পরিগৃহীত হন। রামচন্দ্র সেনের পর রাজবল্লভই বঙ্গীয় বৈদ্যসমাজের প্রথম সমাজপতি । রাজবল্লভের উত্তর-পুরুষগণ অদ্যাপি এই সম্মানস্থচক পদগৌরব উপভোগ করিতেছেন ।