পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ বঙ্গীয় বৈদ্য সমাজে রাজবল্লভ কর্তৃক যজ্ঞোপবীত পুনঃ প্রবর্তনের উদ্যোগ রাজবল্লভের অভু্যখানের সময় বঙ্গ, পুৰ্ব্বকুল ও বরেন্দ্র সমাজ ব্যতীত, অন্ত দুই বৈদ্য সমাজে যজ্ঞোপবীত ধারণের প্রথা প্রচলিত ছিল এবং এখন পর্য্যন্তও ঐ উভয় সমাজ হইতে ঐ প্রথা তিরোহিত হয় নাই। ঐ সময় বঙ্গ, পূৰ্ব্বকুল ও বরেন্দ্র-সমাজ-মধ্যে মাত্র কিয়দংশ বৈদ্য উপনীত ছিলেন এবং অবশিষ্ট সমস্তই নিরুপবীত হইয়া গিয়াছিলেন। রাজবল্লভ এবং তাহার জ্ঞাতিবর্গেরও যজ্ঞোপবীত ছিল না। তিনি শেষোক্ত তিন সমাজের অন্তর্গত নিরুপবীত বৈদ্য-সন্তানগণমধ্যে যজ্ঞোপবীত প্রথা প্রচলনের চেষ্টা করেন (১)। যে কারণে রাজবল্লভ নিরুপবীত বৈদ্যগণমধ্যে উপনয়ন-প্রথা প্রচলিত্ত করিবার উদযোগী হইয়াছিলেন, তৎসম্বন্ধে বিভিন্ন প্রবাদ প্রচলিত আছে । কেহ কেহ বলেন, একদা তিনি রাজকাৰ্য্যোপলক্ষে মুরশিদাবাদে অবস্থান করিতেছিলেন, ঐ সময় ভাজনঘাট-নিবাসী (১) ভারতীয় আৰ্য্যজাতির শৈশব অবস্থায় তাহাদিগের মধ্যে উপবীত ধারণ প্রথা প্রচলিত ছিল না। যে সময় প্রাচীন আৰ্য্য ঋষিগণ পঞ্চনদ প্রদেশে অবস্থান করিতেন, ঐ সময়ের প্রথমভাগে মাত্র যজ্ঞোপলক্ষে উপবীত ধারণ করা হইত এবং যজ্ঞকাৰ্য্য শেষ হইলেই ঐ উপবীত পরিত্যক্ত হইত। বৃহস্পতির সময় হইতে ভারতবর্ষীয় আর্য্য সমাজ মধ্যে নিয়মিতরূপে যজ্ঞোপবীত ধারণ প্রথা প্রবর্তিত হয়। —History of Ancient Civilization in India, by R. C. Dutt.