! s রিয়াজু সেলাতিন” নামক গ্রন্থে বাঙ্গালা দেশের বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। গোলাম হোসেন সালিম সৈদপুরী নামক জনৈক মুসলমান পারস্যম্ভাযায় এই গ্রন্থ রচনা করেন। কোন সময়ে ইহা বিরচিত হইয়াছিল ভাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। তবে তিনি যে ১৮১৭ খ্ৰীষ্টাক্সে পরলোক গমন করিয়াছেন তৎসম্বন্ধে অণুমাত্রও সন্দেহ নাই। এই গ্রন্থকারের আদিম নিবাস অযোধ্য প্রদেশে। পশ্চাৎ তিনি তথা হইতে মালদছে আসিয়া বাসস্থল সংস্থাপন করেন। এস্থলে তিনি ডাকমুন্সীর কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন । - . . অৰ্ম্মি সাহেব কৃত “ইন্দুস্তান” নামক ইতিহাস অতি উপাদেয় গ্রন্থ। তিনি ঐতিহাসিক সাধুতা ৱক্ষা করিতে যথেষ্ট চেষ্টা করিয়াছেন। অশ্মি সাছেৰও অনেক ঘটনা প্রত্যক্ষ করিয়া লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। স্থানে স্থানে তাছার লিখিত বৃত্তান্তের সহিত পূৰ্ব্বোক্ত গ্রন্থকারদ্বয়ের লিখিত বৃত্তাস্তের অনৈক্য হইয়াছে। বিদেশীয় লেখকের পক্ষে যে সমস্ত ভ্রম প্রমাদ হওয়ার সম্ভাবনা, অৰ্ম্মি সাহেবের লিখিত ইতিবৃত্তে তাহার অভাব নাই। কিন্তু ঐতিহাসিক হিসাবে এই গ্রন্থের মুল্য সায়ের মোতাক্ষরীণ ও রিয়াজু সেলাতিন অপেক্ষ নুন নহে। রেভারেও জে লং সাহেব যে “ভারত-গবর্ণমেণ্টের অপ্রকাশিত রেকর্ড” প্রচার করিয়াছেন, তাহা হইতে বর্ণিত সময়ের অনেক রহস্য জ্ঞাত হওয়া যায় । দুঃখের বিষয় তিনি সমস্ত রেকর্ড সংগ্ৰহ করিতে সমর্থ হন নাই। রেকর্ডের কিয়দংশ-১৭৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রবল বস্তায় জলমগ্ন হইয়াছে, এবং কতক ১৭৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে সিরাজ-কর্তৃক কলিকাতা আক্রমণের সময় বিলয় প্রাপ্ত হইয়াছে। আধুনিক ইংরাজ লেখকগণ ৰাঙ্গালা-দেশ-সম্বন্ধে যে সমস্ত ইতিবৃত্ত প্রচার করিতেছেন, তাহার অধিকাংশই এই রেকর্ড, সায়ের মোতাক্ষরীণ, রিয়াজু সেলাতিন এবং ইন্দুস্তান অবলম্বনে লিখিত। , , , , , , .