পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ অথ্যাঙ্ক। প্রথম পরিচ্ছেদ সিরাজউদৌল্লার বিদ্রোহ । বিধাতা আলিবর্দীর ললাটে শান্তিমুখ লিখিতে বিস্কৃত হইয়াছিলেন। সিংহাসন-লাভের অব্যবহিত পরেই তাহাকে উড়িষ্যার শাসন-কর্তা মুরশিদকুলীৰ্থার বিরুদ্ধে অভিযান করিতে হইয়াছিল। মহারাষ্ট্রীয়গণ সদলবলে বাঙ্গলার শস্তশ্যামল ক্ষেত্রসমূহ ধ্বংস করিতে আরম্ভ করিলে, ঠাঙ্গাকে সাতিশয় বেগ পাইতে হইয়াছিল । এ দিকে সুদক্ষ সেনানী মুস্তাফ খ বিদ্রোতভাব অবলম্বন করিয়া আলিবর্দীর অনেক বলক্ষয় করিয়াছিল । তিনি এই সমস্ত বিপদূরাশি হইতে উত্তীর্ণ হইতে না তইতেই ১৭৫০ খৃষ্টাব্দে পুনরায় মহারাষ্ট্ৰীয়গণ দলে দলে বাঙ্গালায় আসিয়া উৎপাত আরম্ভ করিল। এক্ষণে ঐ মহারাষ্ট্রীয়গণকে সমুলে ধ্বংস করিতে কৃতসংকল্প হইয়া নবাব সসৈন্তে মুরশিদাবাদ হইতে বহির্গত চাইলেন । মীরজাফর ও রায়দুল্লভ স্ব স্ব সেনাদল সহ প্রভুর অনুগমন করিলেন । বিধাতার বিড়ম্বনায় সমবেত সৈন্যদল মেদিনীপুর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইলেই বর্ষাকাল সমাগত হইয়া তাঁহাদের গতিরোধ করিল। মৃতরাং বর্যাপ্রভাতে পুনরায় অগ্রসর হইবেন স্থির করিয়া আলিবর্দী মদিনীপুরে শিবিরসন্নিবেশপূৰ্ব্বক অবস্থান করিতে লাগিলেন । এই মিয় এক অভাবনীয় বিপদ সমুপস্থিত হইয়। তাছার মামসিক শাম্ভি স্বনাশ করিতে উদ্যত হইল ।